Opu Hasnat

আজ ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ২০২৪,

খাগড়াছড়িতে পশুর হাট, করোনা এড়াতে নেই সচেতনতা খাগড়াছড়ি

খাগড়াছড়িতে পশুর হাট, করোনা এড়াতে নেই সচেতনতা

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাতে এই কোরবানির সময়ে পশুর হাটে নেই কোন স্বাস্থ্যবালাই সুরক্ষা। মানা হচ্ছে না কোনো নিয়মকানুন। ফলে ঝুঁকিতে আছে সাধারণ মানুষ। আশংকা করা হচ্ছে করোনাতে আক্রান্ত হওয়ার। 

জেলার পৌরসভা ও সদর উপজেলাতে কুরবানির গরুর হাট-বাজারগুলো গরু বেপারিদের দখলে। গত বছরের চেয়ে এবারে প্রতিটি গরু ৬থেকে ১০হাজার টাকা বেশি। ভারতীয়-মায়ানমারের গরু সমতল জেলাগুলোতে না আসায় এখানকার পাহাড়ি দেশীয় গরুর উপর চাপ পড়েছে বেশি। স্থানীয় বেপারিরা ট্রাকে ট্রাকে করে সমতল জেলায় দেশীয় গরু পাঠিয়ে দিচ্ছে প্রতিদিন। যার ফলে এখানে স্থানীয় ক্রেতাদের চড়া দামে কোরবানির গরু কিনতে হচ্ছে। 

গরুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না কেউই। হাটে নজরদারিও তেমন একটা চোখে পড়ছে না। ফলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। গত বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ির সবচেয়ে বড় গরু বাজার।

খাগড়াছড়ি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরু উঠেছে অনেক। সব গরুর বিক্রেতাগণ স্থানীয় বেপারিরা। সুযোগ বুঝে স্থানীয় বেপারিরা এখানকার খেটে-খাওয়া পাহাড়ী শ্রমিকদের হাতে গরুর দড়ি ধরিয়ে দিয়েছে। এসব পাহাড়ী শ্রমিকরা নিজেদের পালিত গরু বলে দাম হাকছে। ৪মন ওজনের একটি গরুর দাম হাকছে ১লাখ ২০হাজার টাকা। গেল বাজারে ৫মণের কাছাকাছি ২টি গরু বিক্রি করা হয় ২লাখ ৩৫হাজার টাকায়। চাহিদার তুলনায় এখানে গরুর সংখ্যা কম থাকায় স্থানীয় বেপারিরা চড়া দর চাচ্ছে। পাহাড়ি পাড়া গ্রামগুলোতে গৃহপালিত গরু নেই বললেই চলে। এসব পালিত গরুগুলো মালিক থেকে কিছু টাকা দিয়ে অগ্রিম ক্রয় করে মালিকের কাছেই রেখা হচ্ছে। প্রতিদিন সমতল জেলাগুলোতে ট্রাকে ট্রাকে করে গরু নিয়ে যাচ্ছে। এজন্যই গরু কিনতে চড়া দাম গুণতে হচ্ছে স্থানীয় ক্রেতাদের। পাহাড়ে গরু পালনে প্রচুর সম্ভাবনা থাকলেও সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় এখানে গরুর খামার তেমন গড়ে উঠছে না।

জেলাতে ‘করোনা’ প্রাদুর্ভাবে থমকে দাঁড়িয়েছে দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও ধমীয় কর্মকান্ড। দীর্ঘ সময় আয়-রোজগার বঞ্চিত মানুষজনের মাঝে ঈদ-আনন্দের আমেজ নেই। বিশেষ করে মাঝারী পরিবারেও কোরবানের প্রস্তুুতি অনেক কম। করোনাভাইরাস সংক্রমণ উপেক্ষা করে পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে জেলার ৯টি উপজেলায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে হাট পরিচালনা করতে স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা থাকলেও অনেককে মাস্ক পরে হাটে যেতে দেখা যায়নি। হাটের প্রবেশদ্বারে হাত ধোয়ার কোনো ব্যবস্থা চোখে পড়েনি। তাছাড়া ক্রেতা-বিক্রেতা ছাড়াও অনেক দর্শনার্থীর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। মোট কথা স্থানীয় গরু ব্যবসায়ী ও ইজারাদারের মাথায় হাত বলে তারা জানালেন। ইজারাদারের দাবি করোনার মহামারীর কারণে বাজার জমছেনা। তাই আগামী অর্থবছরে বাজার ফান্ড প্রশাসন নুন্যতম চার মাস যদি সহানুভুতি না দেখায় তাহলে মানবেতর দিন যাপন করা লাগবে। চেংগী নদীর পাড়ে বসেছে কোরবানির পশুর হাট, এতে ঘেঁষাঘেঁষি করে পশু কেনাকাটা করছে সাধারন মানুষ। সোমবার (১২ জুলাই) সকাল থেকে বসা এই হাটে ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতার সংখ্যা বেশি দেখা গেছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা তো দূরের কথা গাঁ-ঘেঁষাঘেঁষি করে পশু কেনাকাটা করছে মানুষ। বেশির ভাগ মানুষের মুখে মাস্ক নেই।

৯টি উপজেলা হাট ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতার চেয়ে ৪গুন বেশি দেশি বলদ ও ষাঁড় গরুতে বাজার সয়লাব। বড় খামারে লাইফ ওয়েট পদ্ধতিতে গরু বেচা-কেনার সুযোগ থাকায় অনলাইনে ৪০/৫০ভাগ গরু বিক্রি হলেও ক্ষুদ্র-মাঝারী খামার এবং কৃষকের ঘরে মোটাতাজা গরু গত ৩/৪বাজারে ক্রেতাশূণ্য থাকায় খামারীরা দুশ্চিান্তায় পড়েছিল। তবে শেষ সময়ে এসে বৃহষ্পতিবার ও শনিবার দেড়/দুই হাজার গরু বাজারে জমায়েত হয়। এর মধ্যে দেশি (মাঝারী) বলদ ও ষাঁড় গরুই সবচেয়ে বেশি। বেচা-কেনার ক্ষেত্রে বলদ ও ষাঁড় বিক্রি হয়েছে একটু বেশি। তবে বাজারে সমবেত গরুর এক-চতুর্থাংশ গরু বিক্রি হয়েছে বলা যায়। সাড়ে ৪মণ থেকে ৫মণ (মাংস) ওজনের বলদ গরু বিক্রি হয়েছে গড়ে ৮৫-৯৫হাজার টাকায়। আর একই ওজনের ষাঁড় বিক্রি হয়েছে গড়ে ৮০-৮৫হাজার টাকায়। সর্বোচ্চ সাড়ে ৬মণ ওজনের ষাঁড় বিক্রি হয়েছে ১লক্ষ ১৫হাজার টাকায়। এছাড়া ছোট ও মাঝারী গাভী, বলদ, ষাঁড় গড়ে ৪০-৭৫হাজার টাকায় বিক্রি করতে হয়েছে খামারী ও কৃষকদেরকে। কারণ বাজারে সমবেত গরুর চেয়ে ক্রেতা ৪গুন বেশি হওয়ায় গরু নিয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে মধ্যস্থভোগী বেপারীরা। ক্ষুদ্র খামারী এবং কৃষকরা এবার গরু বিক্রিতে লাভবান না হলেও অন্তত পুঁজি নিয়ে ঘরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। অন্যান্য বছরের ন্যায় বেশি লাভবান না হওয়ায় মাঝারী খামারী ও মধ্যস্থভোগী বেপারীরা পুঁজি হারিয়েছে অনেকে। আবার অনেকে গরু বিক্রি না করে আবারও গৃহে লালন-পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 

খাগড়াছড়ি বড় বাজার পশু হাট ঘুরে দেখা যায়, হাজারের বেশি গরু-ছাগল হাটে এনেছেন বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা। তবে বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কম। কোরবানির ঈদ ঘনিয়ে আসলেও গরু-ছাগলের ক্রয়-বিক্রয়ের আমেজ ছড়িয়ে পড়েনি। জেলা সদর বাজারে গরু-ছাগলের কমতি না থাকলেও ক্রেতার উপস্থিতি কম। এতে খামারি-ব্যবসায়ী ও ইজারাদারের কপালে হতাশার চিহ্ন দেখা যায়। জেলা কোরবানীর পশুর হাটে প্রায় শেষ সময়ে এসে পশু বেচা-কেনায় ক্রেতারা স্বস্তিবোধ করলেও পুঁজি হারিয়ে অস্বস্তিবোধ করেছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারী খামারী। ফলে ৯টি উপজেলার অর্ধশত খামারী ও মধ্যস্থভোগী বেপারী এ বছর গরু ব্যবসায় নাভিশ্বাস। সাধারন কৃষক পরিবার পুঁজি ফিরে পেয়ে কিছুটা স্বস্তিতে।

করোনা প্রতিরোধে কঠোর লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রশাসনের প্রচার-প্রচারণা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে যেন সচেতনতা নেই। অভিযানের কথা শুনার শুনলেই মাস্ক পরাসহ অন্য বিষয়ে সচেতন হয়ে উঠলেও ম্যাজিস্ট্রেট ফিরে যেতেই আগের চিত্র হয়ে দাড়ায়। সোমবার (১২ জুলাই) পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলাধীন শান্তিপুর গরুর হাট ও আশেপাশের কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে। সোমবার ভোর থেকেই শান্তিপুর বাজারে ব্যাপক সমাগম ঘটে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ক্রেতা-বিক্রেতাদের। কেউ কোরবানী পশু বিক্রি করতে আবার কেউ কেউ পছন্দের কোরবানীর পশু কিনতে জড়ো হয় শান্তিপুর বাজারের কোরবানীর পশুর হাটে। কিন্তু সেখানে মানতে দেখা যায়নি স্বাস্থ্যবিধি।

মাটিরাঙ্গায় প্রশাসনের নানামুখী চেষ্টার পরেও জনগন সরকারী বিধিনিষেধ মানছেনা মন্তব্য করে সচেতন মহল মনে করেন, প্রশাসন-জনগন লুকোচুরি খেলা বন্ধ করা না গেলে করোনা প্রতিরোধ বা করোনা থেকে নিজেদের নিরাপদ রাখা তো দূরের কথা মাটিরাঙ্গাসহ পুরো জেলার মানুষকে চরম মূল্য দিতে হতে পারে। শান্তিপুর বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অ.দা) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজ ফারজানা আক্তার ববি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু হলে হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের মুখে মাস্ক দেখা গেলেও প্রশাসনের লোকজন ফিরে যেতেই ফুটে ওঠে আগের চিত্র। এছাড়াও গরুর হাটে দেখা গিয়েছে অনেক মানুষের সমাগম। এমনকি সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে খোলা হচ্ছে প্রায় সব ধরনের দোকান-পাট।

লকডাউন বাস্তবায়নে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে জানিয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অ.দা) ফারজানা আক্তার ববি বলেন, কোরবানীর পশুর হাটগুলোতে কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছে। একটি গরুর সাথে একজন বিক্রেতা ও ক্রেতা ব্যতিত অন্য কাউকে হাটে প্রবেশ করতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে কোরবানির জন্য জেলাতে প্রস্তুুত করা হয়েছে সাড়ে ২০মণ তথা ৮২০কেজি ওজনের একটি ষাঁড়। এটির হাঁটাচলা কিংবা হাঁকডাকে বেশ রাজকীয় ভাব। গঠন-গড়নেও হৃষ্টপুষ্ট। তাই নাম দেওয়া হয়েছে ‘রাজপুত্র’। উচ্চতা সাড়ে পাঁচ আর দৈর্ঘ্য আট ফুট। বছর চারেক আগে খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙা উপজেলা সদরের মুসলিমপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী মো: ওয়ালীউল্লাহ অলির গোয়ালে জন্ম হয় ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি। পরিবারের সদস্যের মতোই লালন-পালন করেছেন তিনি। মোটাতাজাও করেছেন দেশীয় পদ্ধতিতে। ওয়ালীউল্লাহ অলি প্রাক্তন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য। বর্তমানে তিনি ঠিকাদারি ব্যবসার পাশাপাশি কৃষি ক্ষেত ও মৎস্য খামার গড়ে তুলেছেন। তবে এই ষাঁড়টিকে লালন-পালন করেছেন অনেকটা শখের বশেই।

স্থানীয় কৃষক ও গরু বিক্রেতা মনতোষ ত্রিপুরা জানান, বাজারে হাজারের বেশি গরু-ছাগল উঠেছে। ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা বেশি। তিনি সাতটি গরু এনেছেন। চারটি ৬০-৬৫হাজার টাকা দরে বিক্রি করেছেন। যেগুলো বিক্রি করেছেন সেগুলোর ওজন ১১০-১২০কেজি ছিল। যে তিনটি বিক্রি করতে পারেননি, সেগুলো ১৪০-১৫০কেজি ওজনের। ৭৫-৮০হাজার টাকা হলে বিক্রি করবেন।

গরু বিক্রেতা বারেক মিয়া জানান, হাটে দুটি গরু এনেছেন তিনি। এক লাখ টাকা করে দাম চাচ্ছেন। কিন্তু ক্রেতারা ৮০হাজারের বেশি দাম বলছেন না। এই দামে বিক্রি করলে লোকসান হবে তার। বাজারে ক্রেতা নেই, বাইরের ক্রেতারাও আসতে পারেননি। তাই দাম কম।

গরু ব্যবসায়ী নুরু মিয়া জানান, তার ১০টি গরুর একটিও বিক্রি করতে পারেননি। আগে চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুরের ব্যবসায়ীরা গরু কিনতে আসতেন। কিন্তু লকডাউনের কারণে এবার তারা আসতে পারেননি। স্থানীয় ক্রেতাও খুব বেশি নেই।

হাটের ইজারাদার মো: জামাল উদ্দিন বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৭০-৮০টির মতো গরু-ছাগল বিক্রি হয়েছে। লকডাউনের কারণে ক্রেতা নেই। হাটের ইজারায় লোকসান গুনতে হবে।

মাটিরাঙা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা পলাশ কান্তি চাকমা বলেন, রাজপুত্রের চেয়ে বড় ষাঁড় এ জেলায় আর নেই। খুব যত্ন করে ষাঁড়টিকে বড় করেছেন ওয়ালীউল্লাহ। আমরাও সবসময় পরামর্শ দিয়ে তার পাশে ছিলাম। আশা করছি, তিনি এটিকে ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারবেন। কোরবানীর হাটে অবাধে বেচা-কেনায় ক্রেতা-বিক্রেতার সুবিধার্থে পুলিশ, ব্যাংক স্টাফ ও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক বাজারে অবস্থান করতে দেখা গেছে। 

খাগড়াছড়ি জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নুরুল আফসার জানান, এ বছর এই সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১২হাজারে দাঁড়িয়েছে। এ বছর জেলায় প্রায় ১২হাজার গরু, ছয় হাজার ছাগল কোরবানির জন্য প্রস্তুুতি করেছেন খামারিরা। কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে গেলো বছর এ জেলায় প্রায় ১১হাজার গবাদিপশু পালন করা হয়েছিলো। তবে লকডাউনের প্রভাবে বিক্রেতারা হয়তো গতবারের মতো এবারও কিছুটা লোকসানের মুখে পড়তে পারেন। লকডাউনে ক্রেতা সংকটে লোকসানের মুখে পড়তে পারেন তারা। 

উল্লেখ্য, পার্বত্য জেলা পাহাড়ের প্রাকৃতিক সবুজ ঘাসে লালিত-পালিত দেশী-বিদেশী গরু কোরবানে চাহিদা থাকায় এ গো-খাতে লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন সাধারণ কৃষক ও গো-খামারীরা। গো-খামারে এবং গ্রামের পালিত গরুর নিয়মিত খাবারের তালিকায় প্রাকৃতিক সবুজ ঘাস, ভূষি, খৈল এবং খেড়। এসব খাবার সু-স্বাদু হওয়ার কারণে অল্প সময়ে গরু মোটাতাজায় পরিপুষ্ট হয়। ফলে এসব গরু কোরবানে বেশ চড়া দামে বিক্রি করে লাভবান হয় ব্যবসায়ীরা।