Opu Hasnat

আজ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার ২০২৪,

ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা

সিংগাইরে লাঠিপেটার ঘটনায় পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার, তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ মানিকগঞ্জ

সিংগাইরে লাঠিপেটার ঘটনায় পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার, তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে ব্যবসায়ীকে জরিমানা ও লাঠিপেটার ঘটনায় পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারের পর এবার ঘটনাটি তদন্তে কর্মকর্তা নিয়োগ করেছেন জেলা প্রশাসন। জরুরী ভিত্তিতে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

ঘটনাটি নিয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশিত হলে লাঠিপেটাকারী ওই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী ও লাঠিপেটার নির্দেশদাতা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও রুনা লায়লার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়।

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে গত ১১ জুলাই জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন জেলা শাখার পক্ষ থেকে প্রেস নোটের মাধ্যমে ইউএনও’র পক্ষ নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানানো হয়। পরে ওইদিন বিকেলেই ঘটনা তদন্তে উপসচিব পদমর্যাদার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেন জেলা প্রশাসন। তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামকে।

এদিকে, ইউএনও’র পক্ষ নিয়ে প্রেসনোট দেয়া সংগঠনটির অন্যতম সদস্যকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়ায় নিরপেক্ষ তদন্ত নিয়ে জনমনে প্রশ্ন ওঠেছে। অভিজ্ঞদের মতে, সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে ঘটনাটির বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া উচিত।

এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, সোমবার (১২ জুলাই)  চিঠিটা হাতে পেয়েছি। যত তাড়াতাড়ি পারি তদন্ত করে রিপোর্ট দেব। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের একজন দায়িত্বশীল সদস্য হয়ে আপনি কতটুকু নিরপেক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা ডিসি স্যারকে জিজ্ঞাসা করুন।

এদিকে, ঘটনার পর থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুনা লায়লাকে চলমান লকডাউনে কোনো অভিযান পরিচালনা করতে দেখা যায়নি। উপজেলা প্রশাসন অফিস সুত্রে জানা গেছে, তিনি ছুটি নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছেন।

প্রসঙ্গত, চলমান লকডাউনের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার জায়গীর বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী তপন দাস তার দোকান খোলা রাখায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত। সেখানে ইউএনও রুনা লায়লাকে আপা বলে সম্বোধন করায় ওই ব্যবসায়ীকে লাঠিপেটা করেন এক পুলিশ সদস্য। 

পুলিশের দাবী ইউএনও’র নির্দেশেই তাকে লাঠিপেটা করা হয়েছে। তবে ইউএনও রুনা লায়লা লাঠিপেটার ঘটনা বরাবরই গণমাধ্যমের কাছে অস্বীকার করে আসছেন।