Opu Hasnat

আজ ২৬ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

সেফটিক ট্যাংকি থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার কুমিল্লা

সেফটিক ট্যাংকি থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার

কুমিল্লার বুড়িচংয়ের ভারেল্লা শাহ্ ইসরাইল কামিল মাদ্রাসার সেফটিক ট্যাংকি থেকে ৭ বছরের শিশু উম্মে হাবিবা মীমের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে মাদ্রাসার পেছনের সেফটিক ট্যাংক থেকে লাশ উদ্ধার করে হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে ওই মাদ্রাসার দফতরি কাইয়ুমকে (২১) আটক করেছে বুড়িচং থানা পুলিশ। নিহত মীম ভারেল্লা গ্রামের সিএনজিচালক শরীফের মেয়ে। সে স্থানীয় ব্র্যাক স্কুলের ১ম শ্রেণির ছাত্রী ছিলো।

সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে মীমকে মোবাইলের টাকা রিচার্জ করার জন্য বাড়ি পাশে দোকানে পাঠানো হয়। এরপর থেকেই মীম নিখোঁজ ছিলো। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে বুড়িচং থানাতে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। শনিবার সকালে সম্পর্কে মীমের চাচা কাইয়ুম ফোন করে পরিবারকে জানান, এক ফকির বাবা বলেছে মীমকে মেরে সেফটিক ট্যাংকে ফেলা হয়েছে, আশপাশে খুঁজলে লাশ পাওয়া যাবে। পরবর্তীতে কাইয়ুম নিজেই সাগর নামের আরেক শিশুকে নিয়ে সিফটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে লাশ তুলে সবাইকে জানান।

নিহত মিমের দাদা আব্দুল মান্নান জানান, আমরা ধারণা করছি কাইয়ুম পরিকল্পিতভাবে আমার নাতনীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ সেফটিক ট্যাংকে ফেলে রেখেছে। কয়েকমাস আগেও সে মীমকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ নিয়ে তার সঙ্গে আমার ছেলে বৌয়ের বাকবিতন্ডা হয়।

ভারেল্লা দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান শাহ কামাল জানান, লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে আমি পুলিশ সুপার ও থানার ওসিকে জানিয়েছি। তারা এসে তদন্ত করছে। সাত বছরের নিষ্পাপ শিশু মীমকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

আটক কাইয়ুম ওই মাদ্রাসায় দফতরির কাজ করতো। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. ফরিদ আহমেদ জানান, কাইয়ুমের বাবা গত ৪০ বছর ধরে এ মাদ্রাসায় দফতরির কাজ করতেন। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে কাইয়ুমের বাবা আবদুল মবিন অবসরে গেলে পরবর্তী দফতরি নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত ১৫শ’ টাকা বেতনে মৌখিক নিয়োগে চাকরি করতো কাইয়ুম।

দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলেই ধারণা করছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করেছি। ময়না তদন্ত শেষে জানা যাবে মীমকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে কিনা।

বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ধর্ষণ বা অন্যকিছু ঘটেছে কিনা তা পরে বলা যাবে। আমরা লাশ উদ্ধার করেছি। ময়না তদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।