Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত জাতীয়

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত

এক মাস সিয়াম সাধনা শেষে শুক্রবার সারাদেশে পালিত হচ্ছে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গত বুধবার সন্ধ্যায় ১৪৪২ হিজরি সনের পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে সন্ধ্যা ৭টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। তখন চাঁদ দেখা না যাওয়ায় রমজান মাস ৩০ দিন পূর্ণ হয়।

বৃহস্পতিবার সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ঈদ উদ্‌যাপন করা হয়।

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ঈদগাহ বা উন্মুক্ত স্থানে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। এই ক্ষেত্রে মুসল্লিরা জীবনের ঝুঁকি বিবেচনা করে ঈদের নামাজের জামাত খোলা জায়গার পরিবর্তে কাছের মসজিদে পড়ছেন। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ঈদের পাঁচটি জামাত হচ্ছে।

ইতোমধ্যে, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদুল ফিতরে প্রথম দু’টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লির নামাজে অংশ নিলেও সড়কে ছিল ভিড়।
বায়তুল মোকাররমে প্রথম ঈদ জামাত হয় শুক্রবার সকাল ৭টায়। এতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ ক্বারী কাজী মাসুদুর রহমান।

শুক্রবার (১৪ মে) সকাল ৭টায় প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ১৯ মিনিটব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় ঈদের দুই রাকাত নামাজ। এরপর অনুষ্ঠিত হয় ঈদের বিশেষ খুতবা। খুতবা শেষে মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় ঈদের প্রথম জামাত।

দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায়। এতে ইমামতি করেন মুফতি মুহিববুল্লাহিল বাকী নদভী।

এর আগে সকাল ৬টা থেকে জায়নামাজ হাতে জাতীয় মসজিদে ঈদের জামাত আদায়ে ভিড় করে মুসল্লিরা। তাদের অনেকের হাতে ছাতাও দেখা যায়। মুসল্লিদের অনেকেই ফাঁকা ফাঁকা হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাড়াতে দেখা গেলেও অনেককে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করতে দেখা যায়। তবে মসজিদের প্রবেশ করা সবার মুখেই মাস্ক ছিল।  

এছাড়া জাতীয় মসজিদ এলাকায় এবং মসজিদের প্রতিটি গেটে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি ছিল। ব্যাগ নিয়ে আসা অনেককেই তারা তল্লাশি করেন।