Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

ফরিদপুরের মার্কেট গুলোতে উপচে পড়া ভিড়, সামাল দিতে মাঠে পুলিশ সুপার ফরিদপুর

ফরিদপুরের মার্কেট গুলোতে উপচে পড়া ভিড়, সামাল দিতে মাঠে পুলিশ সুপার

সারাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহ রুপ নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ঈদকে সামনে রেখে মার্কেট ও শপিং মল খুলে দেওয়ায় সাধারন মানুষ কেনাকেটা করতে ভিড় করছে ফরিদপুরের মার্কেট ও শপিংমল গুলোতে। সোমবার সকাল ১০টা থেকে প্রতিটি মার্কেটের সামনে ছিলো সব শ্রেনির বয়সীদের ভিড়। কোন সামাজিক দুরত্ব না মেনে তারা কেনাকেটায় ব্যস্ত ছিলো এসময়। 

এ অবস্থায় মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে স্বশরীরে মাঠে নামেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ আলিমুজ্জামান (বিপিএম সেবা)। তবে, বাধ্য করে নয়, উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় মাঠে থেকে কাজ করেন তিনি। এসময় তিনি দোকানদার ও ক্রেতাদের সাথে কথা বলেন। তিনি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সহ মার্কেট গুলোর মালিকদেরকে করোনার বিধি বিধান মেনে চলার জন্য আহবান করেন। 

পুলিশ সুপার বলেন, আমরা সচেতনতার মাধ্যমে সবাইকে মাস্ক পরতে উদ্বুদ্ধ করব, জোর করে বা আইন প্রয়োগ করে নয়। আশা করছি, সবাই ঝুঁকি ও বিপদ বুঝতে পেরে নিজ থেকেই সচেতন হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। তিনি আরো বলেন, সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক পরার বিকল্প নেই। পুলিশ সবাইকে আহ্বান জানাতে চায়, সবাই সাবধানতা অবলম্বন করুন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার সবচেয়ে অন্যতম মাধ্যম হলো মাস্ক পরা। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার, কোতয়ালী থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ জলিল, বনিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দিলা সহ ব্যবসায়ী নেতা ও পুলিশের কর্মকর্তারা। 

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শুরুতে লোক সমাগম নিয়ন্ত্রণ ও মাস্ক পরতে বাধ্য করতে মাঠে ছিলো পুলিশ সদস্যরা। পরে, সংক্রমণ কিছুটা কমে আসায় সিথিল হয় স্বাস্থ্যবিধি। কিন্তু সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় আবারও লকডাউনের শুরু থেকে জেলায় মাঠে নেমেছে পুলিশ সদস্যরা।