Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই নৌপথে

দৌলতদিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের ঢল রাজবাড়ী

দৌলতদিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের ঢল

লকডাউনের কারনে যাত্রি ও যানবাহনের ঢল নেমেছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে। রবিবার সকাল থেকে ঢাকা থেকে আশা বাড়তি মানুষের চাপে কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি বা ১৮ দফা নির্দেশনা কোনটিই মানেননি ফেরি বা লঞ্চের যাত্রীরা। গাদাগাদি করেই পার হচ্ছেন তারা।

সরেজমিনে রবিবার বিকেলে দৌলতদিয়া লঞ্চেঘাটে গিয়ে দেখাযায়, দৌলতদিয়া থেকে যে ফেরিগুলো ছেড়ে যাচ্ছে সেগুলোতে একে বারেই যাত্রি নেই। কিন্তুু তার উল্টো চিত্র মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে যে লঞ্চগুলো আসছে তাতে। প্রতিটি লঞ্চের সামনে ধারন ক্ষমতার অর্ধেক লেখা থাকলেও ধারন ক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুন যাত্রি বহন করছে লঞ্চগুলো। এমনকি নামার সময় হুরোহুরি ও প্রতিযোগিতা করে নামছেন তারা।

সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে বিআইডব্লিউটি’র ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর আবতাব হোসেন দৌড়ে এসে মাইকে নিয়ম মানার প্রচার করতে ব্যস্ত হয়ে পরেন। তবে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি নন তিনি।

দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের ম্যানেজার মিলন মিয়া বলেন, মানুষের চাপ বেশি তারপরও সরকারী নির্দেশনা মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে পারাপার করা হচ্ছে। নিশ্চিত করা হচ্ছে মাস্ক পরিধান।

এদিকে যাত্রী ও যানবাহনের চাপে গতকাল বিকেলে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা খুলনা মহা সড়কের দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুল পর্যন্ত যাত্রিবাহি বাস ও চ্রাকের লম্বা সাড়ি তৈরি হয়। এতে পারের অপেক্ষায় আটকে পরে অন্তত ৪ শত ছোট বড় যানবাহন। বিপাকে পরেন যাত্রী ও চালকেরা। 

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী ব্যাবস্থাপক খোরশেদুল আলম বলেন, টানা এক সপ্তাহ লক ডাউনের  খবর পেয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছে মানুষ। এই নৌরুটে বর্তমানে ১৬ টি ফেরি দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে। নদীর অবস্থা ভালো ও পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় তেমন ভোগান্তি নেই। তবে বাড়তি যানবাহনের কারনে ঘাটে কিছু গাড়ি আটকা পরেছে। পর্যায়ক্রমে এগুলো পারাপার করা হবে।