বিচারকের কক্ষে খুনের ঘটনায় যুবকের মৃত্যুদন্ড কুমিল্লা / 
কুমিল্লার আদালতে বিচারকের খাস কামরায় ডুকে ছুরিকাঘাতে ফারুক নামের এক আসামিকে খুনের দায়ে মো. হাসান (২৫) নামে আরেক আসামির মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আতাব উল্লাহ এ রায় দেন।
দন্ডপ্রাপ্ত মো. হাসান জেলার লাকসাম উপজেলার ভোজপাড়া গ্রামের শহিদুল্লাহর ছেলে। রায় ঘোষণার সময় হাসানের স্বজনরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার অভিযোগ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই কুমিল্লা আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি গ্রামের হাজী আবদুল করিম হত্যা মামলার হাজিরা দিতে আসেন দুই আসামি জেলার লাকসাম উপজেলার ভোজপুর গ্রামের শহিদুল্লাহর ছেলে মো. হাসান এবং মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি গ্রামের অহিদুল্লাহর ছেলে মো. ফারুক। এ সময় ফারুককে ছুরি নিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে হাসান। প্রাণ বাঁচাতে ফারুক বিচারকের খাস কামরায় প্রবেশ করলে সেখানে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে হাসান। পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ফারুককে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ফিরোজ আহম্মেদ হাসানকে রক্তমাখা ছুরিসহ আটক করেন। তিনি ঘটনার বাদী হয়ে ওইদিন রাতে ঘাতক হাসানের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক প্রদীপ মন্ডল একই বছরের ২৬ আগস্ট ওই আসামির বিরুদ্ধে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত নং-১ এ চার্জশিট দাখিল করেন।
কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম সেলিম বলেন, কুমিল্লার আদালতে এ হত্যাকান্ড ছিল একটি নজিরবিহীন ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা। আসামিকে ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ছুরিসহ আটক করেছিল। এ রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।