Opu Hasnat

আজ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার ২০২৪,

কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতেই দু’গ্রপের হাতাহাতি থামাতে পুলিশের লাঠিচার্জ

এবারই প্রথম ভাসানীর স্মরণ সভার আয়োজন করতে পারেনি তার আদর্শের বিএনপি টাঙ্গাইল

এবারই প্রথম ভাসানীর স্মরণ সভার আয়োজন  করতে পারেনি তার আদর্শের বিএনপি

মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুর পর ৩৯ বছর পর এবারই প্রথম মঙ্গলবার  তার মুত্যুবার্ষিকী  উপলক্ষে মাজার প্রাঙ্গণে কোন স্মরণ সভার আয়োজন করতে পারেনি তার আদর্শের অনুসারী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী  দল (বিএনপি)। দলীয় কোন্দল এতই প্রকট হয়েছে যে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতেই দু’গ্রপের হাতাহাতি থামাতে শেষ পর্যন্ত পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়েছে।

মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিবছর স্মরণসভার আয়োজন করে টাঙ্গাইল শহর বিএনপি। কিন্তু অনেকদিন থেকেই শহর বিএনপি’র দু’টি গ্র“প কর্মকান্ড পরিচালনা করলেও জেলা বা কেন্দ্রীয় নেতারা তাদের এক করতে বা উভয় গ্র“পের কার্যক্রম বন্ধ করতে পারেনি। কোন্দল থামাতে না পেরে অবশেষে স্মরণ সভা আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি।

সকাল থেকেই উভয় গ্র“পের নেতাকর্মীরা মাজার প্রাঙ্গণে আসতে থাকেন। বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও জেলা শাখার সভাপতি এ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব:) মাহমুদুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলম তোফা মাজার প্রাঙ্গণে এসে অপেক্ষা করতে থাকেন কেন্দ্রীয় নেতাদের জন্য। সকাল সোয়া দশটার দিকে কেন্দ্রীয় নেতারা এসে উপস্থিত হন। এদের মধ্যে ছিলেন সহ সভাপতি আবদুল­াহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, কুষক দলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ। সবাই মিলে মাজরে পুষ্পস্তবক অর্পণের জন্য যাওয়ার সময় দু’পক্ষের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এক গ্র“প আরেক গ্র“পের পুষ্পস্তবক ভেঙ্গে ফেলে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতৃবৃন্দ মাজারের ভেতরে চলে যান। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলম তোফা জানান, মাজার প্রাঙ্গণে দু’গ্র“পের ধাক্কাধাক্কি ও পুলিশের লাঠিচার্জ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।