Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

পাইকগাছায় যাতায়াতের রাস্তা ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ভোগে এলাকাবাসী খুলনা

পাইকগাছায় যাতায়াতের রাস্তা ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ভোগে এলাকাবাসী

পাইকগাছায় একটি গ্রামের লোকদের যাতায়তের জন্য নেই কোন রাস্তা ও নেই কোন সুপেয় পানির ব্যবস্থা। গ্রামের ৫ শ লোক চরম দুর্ভোগে মধ্য দিয়ে দীর্ঘ যুগ যুগ ধরে জীবন- যাপন করছে। উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নে অবস্থিত অবহেলিত গ্রামটির নাম হুগলাবুনিয়া। যাতয়াতের জন্য  কোন রাস্তা নেই। গ্রামটির চারপাশে শুধু পানি আর পানি।কিন্তু তা মাছ ও ফসলের কাজের জন্য। পানীয় পানের কোন উপযোগী কোন পানির ব্যবস্থা নেই। স্বাধীনতার পর থেকে দীর্ঘ ৫০ বছরে অনেক নেতা, চেয়ারম্যান, মেম্বর নেতারা শুধু আশ্বাস দিয়েছে নেইনি কোন সু-ব্যবস্থা। গ্রামটিতে পাঁচ শতাধিক মানুষের বসবাস থাকলেও ভোটের সময় খোঁজ নেই তার পর আর কেই খোঁজ রাখে না বলে জানালেন স্থানীয় বাসিন্দা তপন কুমার মন্ডল ওশিবানী রানী মন্ডল। বর্ষা মৌসুমে দুর থেকে দ্বীপবেষ্ঠিত মনে হয়। 

সরেজমিনে দেখা যায়, গজালিয়া চৌরাস্তা থেকে পশ্চিমে কয়েক কিলোমিটার লম্বা গ্রামটি। যাতায়াতের জন্য একটি মাত্র মাটির  রাস্তা থাকলে ও সেটি অত্যন্ত সরু ও নিচু। রাস্তার পশ্চিম পাশে  বাঁশের সাকো দিয়ে ঝুকি নিয়ে লোকজন যাতায়ত করে ।গ্রামে একটা প্রাইমারী স্কুল রয়েছে।যেখানে বর্ষাকালে বলতে গেলে শিক্ষার্থীরা যাতায়ত বন্ধ করে দেয়। এসময় অঘোষিত ছুটি ভোগ করে এমনটি মনে হয় বলে জানালেন স্থানীয়রা। মাধ্যামিক বা কলেজগামী শিক্ষার্থীদের পোহাতে হয় চরম ভোগান্তি। গ্রামের মহিলাদের খাওয়ার পনির যেতে হয় প্রায় ৬ কিঃ মিঃ দরে । এখানে চলেনা কোন প্রকার  যানবাহন। পায়ে হেটেই চলতে হয় তাদের। 

স্কুল শিক্ষক তপন কুমার মন্ডল জানালেন, বর্ষা মৌসুমে আমাকে দু'টি ড্রেজ নিয়ে স্কুলে যেতে হয়। দশম শ্রেনী পড়ুয়া শিক্ষার্থী ছবি রানী মন্ডল জানায়, তাদের দু'টি ড্রেজ নিয়ে স্কুলে যেতে হয় না। স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম হিরা বলেন, রাস্তার দু'পাশে মৎস ঘের ও সরকারী খাল থাকায় রাস্তার কাজ করা সম্বব হয়না। বাঁশের সাঁকো ও মেরামত করা হলেও বর্ষা মৌসুমে পানির চাপের কারণে ভেঙ্গে নষ্ট হয়ে যায়।

পাইকগাছা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস বলেন, রাস্তার জন্য ত্রান মন্ত্রনালয় থেকে ৩ লাখ টাকা বরাদ্ধ হয়েছে। খালের উপর  ব্রিজের জন্য মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে সেটাও হবে।পরিমাপ সম্পন্ন হয়েছে। খুলনা-৬ সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, গ্রামবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত রাস্তা ও ব্রীজ নির্মানের যাবতীয় প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে।