Opu Hasnat

আজ ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ২০২৪,

সু চিকে ছেড়ে না দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে : বাইডেন আন্তর্জাতিক

সু চিকে ছেড়ে না দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে : বাইডেন

আটক অং সান সু চিসহ মিয়ানমারের বেসামরিক রাজনীতিবিদদের ছেড়ে দেওয়া না হলে ‘ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ বলে সতর্ক করেন বাইডেন। সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যম পলিটিকো এ তথ্য জানায়।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন ক্ষমতা নেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থান তার পররাষ্ট্রনীতির জন্য ‘চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দেখা দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি। এমনকি কমিউনিস্ট নেতৃত্বাধীন চীনের বিরুদ্ধেও এ নীতি অটল থাকবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

গত কয়েক বছরে এশিয়ার দেশগুলোয় গণতন্ত্রের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, যা মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে। এ ছাড়া মিয়ানমারকে প্রতিবেশী চীনের প্রভাবমুক্ত করার জন্যও দেশটিতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় উৎসাহ দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।

এর আগে ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দলের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, নেত্রী অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ শাসক দলের শীর্ষ কয়েকজন নেতাকে আজ সোমবার ভোরে আটক করা হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনার পর থেকেই মিয়ানমারজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ ছাড়া যোগাযোগের মাধ্যমগুলোও ব্যাহত হচ্ছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদো এবং প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় সৈন্যরা নেমে পড়েছে। রাজধানীসহ প্রধান প্রধান শহরগুলোতে টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম এমআরটিভি জানিয়েছে, তারা কিছু কারিগরি সমস্যার মুখে পড়েছে এবং তাদের সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে।

বিবিসি আরও জানায়, সেনা সদস্যেরা বেশ কয়েকটি অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেছে বলে জানিয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।

দেশটির সামরিক বাহিনী গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তোলে। সেনাবাহিনী নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে আজ সোমবার বসতে যাওয়া সংসদ অধিবেশন বাতিলের দাবি জানায়।

অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন এনএলডি নভেম্বরের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় পায়। সেনাবাহিনী সমর্থিত বিরোধী জোট নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তোলে। তাদের দাবি, নির্বাচনে ভোটার তালিকায় ৮৬ লাখ গরমিল পাওয়া গেছে।

নির্বাচনে এনএলডি পার্টি ৮৩ শতাংশ আসন পায়। ২০১১ সালে সামরিক শাসন শেষ হওয়ার পর এটি দ্বিতীয় নির্বাচন ছিল। তবে সামরিক বাহিনী নির্বাচনের ফলকে বাধাগ্রস্ত করে। তারা সুপ্রিম কোর্টে প্রেসিডেন্ট ও ইলেকটোরাল কমিশনের প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে।