Opu Hasnat

আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৪,

সিংগাইরে সরিষা ক্ষেতের পাশে মৌ-বক্স বসিয়ে মধু আহরণ মানিকগঞ্জ

সিংগাইরে সরিষা ক্ষেতের পাশে মৌ-বক্স বসিয়ে মধু আহরণ

সিংগাইর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরিষা ক্ষেতের পাশে  মৌ বক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহ করছেন নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা থেকে আগত মৌ-খামারিরা। প্রতিবছর এ মৌসুমে মৌ-বক্স নিয়ে চলে আসেন তারা।

এ বছর ৭-৮ টি দল উপজেলার বিভিন্ন সরিষা আবাদ এলাকায় মৌ-বক্স বসিয়েছেন। পৌর এলাকার গোবিন্দল চকে গিয়ে দেখা যায়, আল-মদিনা মৌ প্রকল্প নামের খামারি সরিষা ক্ষেতের পাশে ২০০ বক্স বসিয়েছেন। শীতের মৌসুমে সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা।  ক্ষেতের পাশে মৌ-বাক্স স্থাপন করে কৃত্রিম পদ্ধতিতে মধু সংগ্রহ করা হচ্ছে। অনুরুপভাবে  বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান, সবুজ, বাবু ও ফারুকসহ অনেক মৌচাষিরা এ এলাকাটি বেছে নিয়ে মৌবক্স বসিয়ে মধু আহরণ করছেন। মৌচাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, খামার থেকে ৪০০-৫০০ টাকা কেজি দরে খাঁটি মধু বিক্রি করা হয়। স্থানীয় লোকজনদের পাশাপাশি বিভিন্ন ছোট খাটো কোম্পানীও এখান থেকে মধু সংগ্রহ করছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় ৭ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। ৬ টি দল সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহের জন্য এ অঞ্চলে এসেছেন। বিভিন্ন খামার মিলিয়ে সর্বমোট ৯৮০ টি বাক্স বসিয়েছেন। এ পর্যন্ত ১০ হাজার ১২৫ কেজি মধু আহরণ করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য  প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা।

আল-মদিনা মৌ-প্রকল্পের মালিক মোঃ ওমর ফারুক বলেন, ৩৫ বছর যাবত তিনি এ পেশায় জড়িত।  বছরের ৭ মাস মৌমাছিদের চিনি খাইয়ে রাখা হয়। বাকি ৫ মাস জামালপুর, মানিকগঞ্জ ও মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তারা এ মাছি থেকে উপার্জন করেন। এ অঞ্চলের সরিষা মৌসুম শেষ হলে তার চলে যাবেন মাদারীপুরে। যেখানে ধনিয়া, কালোজিরা, বাইন, গেওয়া, খলিশা কিংবা অন্য ফুলের চাষ হচ্ছে। অনেক সময় তারা সুন্দরবনেও মৌবক্স বসিয়ে থাকেন। গেল ৮ বছর ধরে সোনারগাঁয়ের মৌচাষিরা এ অঞ্চলে আসেন।

এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ টিপু সুলতান সপন বলেন, বাংলাদেশে মধু চাষ দিন দিন অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। মধু একটা পুষ্টিকর খাবার । মধু খাওয়ার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তিনি আরো বলেন, মধু উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি আরো সমৃদ্ধ  এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া মৌমাছির পরাগায়নের ফলে সরিষার ১০-১২ ভাগ ফলন বৃদ্ধি পায় বলেও তিনি জানান।