Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

সুনামগঞ্জে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর, চারদফা বাড়ি-ঘরে হামলা, আহত ৪ সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর, চারদফা বাড়ি-ঘরে হামলা, আহত ৪

জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যানার ফেস্টুন রাস্তার পাশে লাগানোর অপরাধে সুনামগঞ্জের কাইয়ারগাও গ্রামে যুব-মহিলালীগের নেত্রীর বাড়িঘরসহ ৫টি নিরীহ পরিবারে লোকজনের বাড়িঘরে হামলা, নারীপূরুষসহ ৪জনকে পিটিয়ে আহত করাসহ ভাংচুর ও লুটপাঠের ঘটনাটি ঘটেছে।

শুক্রবার রাত ৯টায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের কাইয়ারগাঁও গ্রামের এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। এ সময় হামলাকারীরা হুরা মিয়ার বসতঘরে প্রবেশ করে ড্রয়ার ভেঙ্গে ব্যবসার নগদ ১০ লাখ টাকা স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাইয়ারগাঁও গ্রামের স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত শিবিরের মদদপুষ্ট ভূমিখেকো সন্ত্রাসী সৈয়দ মিয়ার ছেলে নজরুল ইসলাম, কালা মিয়ার ছেলে মো. শুক্কুর আলী, দানিস মিয়ার ছেলে সামু মিয়া, কাশেম মিয়ার ছেলে ওমর ফারুক, সৈয়দ আলীর ছেলে মকবুল হোসেন, কাদির মিয়ার ছেলে বকুল মিয়া, মৃত নজ্জু মিয়ার ছেলে মরম আলী, মৃত লাল মিয়ার ছেলে সৈয়দা মিয়া, কাশেম মিয়া ছেলে নুর গণি, রতন মিয়ার ছেলে ফয়েজ মিয়া ও মৃত আশরাফ আলীর ছেলে গাজী মিয়ার নেতৃত্বে ৭০/৮০জনের একটি ভূমিখেকো চক্র দাড়াঁলো অস্ত্র চাইনিজ কুড়াল, রামদা, লোহার রড়, বল্লম নিয়ে একই গ্রামের নিরীহ হুরা মিয়ার বাড়িতে তার ছেলে মো. ফরিদ মিয়া, আব্দুস শহীদ, অহিদ মিয়া, সাদেক মিয়া, আব্দুস শহীদের স্ত্রী সদর উপজেলা যুব মহিলালীগের সহ সভাপতিসহ ৫টি পরিবারের বাড়িঘরে অর্তকিতে হামলা চালিয়ে নারীপূরুষসহ ৪ জনকে পিঠিয়ে আহত করে । আহতরা হলেন কাইয়ারগাঁও গ্রামের মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে মো. হুরা মিয়া (৭০), মেয়ে সাবিকুন নাহার (২৫), হুরা মিয়ার স্ত্রী জায়েদা খাতুন(৬০) ও ছেলে আব্দুস শহীদ। এদের মধ্যে হুরা মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকেসুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং অন্যান্যদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়েছে।  

এদিকে শনিবার ভোরে আবারো নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে শতাধিক সন্ত্রাসীরা চতুর্থবারের মতো ধাড়াঁলো অস্ত্র নিয়ে ফরিদ মিয়াকে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাঠ চালায়। পরে তার ছোটভাই মো. শহীদ মিয়া সুনামগঞ্জ থেকে ১৫জন পুলিশ নিয়ে তার বড়ভাই অবরুদ্ধ ফরিদ মিয়াকে নিজঘর থেকে উদ্ধার করে। এই পাচটি পরিবারের নারীপূরুষ চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বলে মোবাইল ফোনে শহীদ মিয়া গণমাধ্যমকর্মীদের জানান। 

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৬ শে অক্টোবর উক্ত ভূমিখেকো চক্রটি হুরা মিয়ার বাড়িটি জোরপূর্বক দখলের অংশ হিসেবে একই কায়দায় ধাড়াঁলো অস্ত্র নিয়ে তাদেরবাড়িঘরে হামলা চালিয়ে নারীপূরুষসহ ৮জনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে নগদ টাকা পয়সা স্বর্ণালংকারসহ আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ফরিদ মিয়া বাদিহয়ে নামাংঙ্কিত ব্যক্তিদের আসামী করে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করার পর সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর পুলিশ একজন আসামীকে গ্রেপ্তার করলে ও বাকি আসামীরা প্রকাশ্যে দিবালোকে ঘুরে বেড়ালে ও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার না করায় পূনরায় ঐ চক্রটি আবারো তৃতীয়বারের মতো হামলার ঘটনাটি ঘটায়। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্থ পরিাবরের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় আছেন বলে জানান তারা। 

এ ব্যাপারে সন্ত্রাসী হামলার শিকার সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা যুব মহিলীগের সহসভাপতি নুরজাহান বেগম জানান, আজকের ঘটনার মূল কারণটি হলো আমাদের বাড়ির রাস্তার পাশে কেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনার ছবি সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন লাগালাম। এজন্য বাড়িঘরে হামলার পূর্বেই রাস্তার পাশে লাগানো বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ফেস্টুন দাড়ালো অঁস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে  ছিন্নভিন্ন করেছে। পরে বাড়িঘরে এসে ঘরের টিনসেটের ভেড়ায় ভাংচুর ও লুটপাঠ করে। তিনি প্রধানমস্ত্রী শেখ হাসিনা  ও পুলিশ সুপারের নিকট হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি প্রদানের পাশাপাশি জানমালের নিরাপত্তা বিধানের দাবী জানান। 

এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার অফিসার ইন চার্জ মো. শহিদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে । অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এই বিভাগের অন্যান্য খবর