Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

পাইকগাছায় আদালতের আদেশ অমান্য করে ধান কর্তনের অভিযোগ খুলনা

পাইকগাছায় আদালতের আদেশ অমান্য করে ধান কর্তনের অভিযোগ

পাইকগাছায় আদালতের আদেশ অমান্য করে ধান কর্তনের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেদের রেকর্ডীয় সম্পত্তির ধান কর্তনের কথা বলেছেন। আদালতের এমআর ১৯৬/২০ নং মামলা রিসিভার আদেশ পাননি বলে রিসিভারকারী সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। বাদী রয়েছে চরম আতংকে। 

আদালতের মামলা সূত্রে জানা যায়, পাইকগাছা উপজেলার গড়ইখালী ইউপির কুমখালী মৌজায় সি,এস ৩১নং খতিয়ানের বিভিন্ন দাগে ২২.৯৩ একর জমি রয়েছে। যার মধ্যে এস,এ ৩২৬নং খতিয়ানে বিভিন্ন দাগের ১৮.৩৫ একর সম্পত্তির মালিক উক্ত গ্রামের অনিল কৃষ্ণ মন্ডল গংরা। উক্ত সম্পত্তির ধান অবৈধ কর্তন করতে পারে এমন অভিযোগ এনে অনিল কৃষ্ণ মন্ডলের পুত্র দেবাশীষ মন্ডল একই গ্রামের দেবেন্দ্র বর্মন, মনিন্দ্র বর্মন, অনাথ বন্ধু বর্মন, মৃত অতুল বর্মন, সুধীর বর্মনদের ওয়ারেশ সহ ৩০জনের বিরুদ্ধে গত ২ ডিসেম্বর পাইকগাছা বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ধারার বিধানমতে এম.আর ১৯৬/২০নং মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত শুনানী অন্তে উক্ত সম্পত্তির ধান কর্তনে শান্তি-শৃংখলা ভঙ্গের আশংকায় গড়ইখালী ইউপি চেয়ারম্যানকে রিসিভার নিয়োগ প্রদান করেন। আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে প্রতিপক্ষরা উক্ত ১৮.৩৫ একর সম্পত্তির ধান কর্তন করে। 

ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বিশ্বাস বলেন, আদালত আমাকে রিসিভার নিয়োগ করেছে কিনা তা আমি এখনও পর্যন্ত অফিসিয়াল কোন কাগজ হাতে পায়নি। মনিন্দ্র বর্মনের পুত্র সাবেক ইউপি সদস্য রমেশ চন্দ্র বর্মন বলেন, উক্ত সম্পত্তি আমাদের পূর্ব পুরুষদের আমল থেকে স্বত্ব দখলীয় রেকর্ডীয় সম্পত্তি। যা বর্তমান সেটেলমেন্ট জরিপে আমাদের নামে রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছে। আমরা প্রতি বছরের ন্যায় উক্ত সম্পত্তিতে ধান্য রোপন, কর্তন ও তদারকি করে থাকি। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আছি, কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমরা আদালতের কোন আদেশ হয়েছে কিনা তা জানি না।