Opu Hasnat

আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৪,

মা-বাবার সমাধির পাশেই চির নিদ্রায় শায়িত ম্যারাডোনা খেলাধুলা

মা-বাবার সমাধির পাশেই চির নিদ্রায় শায়িত ম্যারাডোনা

মা-বাবার সমাধির পাশেই চির নিদ্রায় শায়িত হলেন- কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়াগো ম্যারাডোনা। কফিন আর্জেন্টিনার পতাকায় মোড়া। আর ঠিক মাথার ওপর বিখ্যাত ১০ নম্বর জার্সিটি রাখা। এই জার্সি পরে আর্জেন্টিনার স্বপ্ন নিয়ে দৌড়েছিলেন একজন স্বপ্নবাজ। মৃত্যুর পর সেটা ম্যারাডোনার সঙ্গেই যাবে। এটাই তো স্বাভাবিক! আর এভাবেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ‘ফুটবল ঈশ্বর’।

নিজ জন্মস্থান বুয়েন্স আইরেসের উপকণ্ঠে অবস্থিত বেলা ভিস্তা সমাধিস্থলে সমাহিত করা হয়েছে ম্যারাডোনাকে। যেখানে চিরনিদ্রায় শায়িত রয়েছেন ম্যারাডোনার বাবা দিয়েগো ম্যারাডোনা চিতোরো এবং মা দালমা সালভাদোরা ফ্রান্সো।

বিবিসি জানিয়েছে, বুয়েনস এইরেসে ম্যারাডোনার শেষকৃত্য ছিল পরিবার ও কাছের মানুষদের নিয়ে। তার শেষকৃত্যে অংশে নেয় ২০-২৫ জন কাছের বন্ধু ও আত্মীয়।

এর আগে প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেস কাসা রোসাদায় ম্যারাডোনার কফিনটি রাখা হয় ভক্তদের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

ম্যারাডোনার পরিবারকে শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ দেওয়া হয় সবার আগে। ৮৬ বিশ্বকাপ কিংবদন্তিকে শেষবারের মতো দেখে গেছেন তাঁর সাবেক স্ত্রী ক্লদিয়া ভিয়াফানে, দুই কন্যা দালমা ও জিয়ান্নিনা।

করোনা সংক্রমণের শঙ্কা উপেক্ষা করে লাখো ভক্ত সমবেত হয়েছিলেন শেষবারের মতো প্রিয় ফুটবলারের কফিন স্পর্শের আশায়। অভ্যাগতদের সবারই চোখে জল, হাতে ফুল। কারও পরনে ছিল ১০ নম্বর জার্সি নয় ম্যারাডোনার ছবি সম্বলিত পোশাক। কেউ দূর থেকেই প্রিয় মানুষটির হাওয়ায় ছুড়ে দিয়েছেন চুমু।

এদিকে লাখো ভক্তকে সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে আর্জেন্টাইন পুলিশকে। প্রেসিডেন্ট প্যালেস অভিমুখে এক কিলোমিটারের চেয়ে বেশি লম্বা লাইনের ভক্তদের ঠেকাতে পুলিশ এক পর্‍যায়ে রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাসও ছুড়েছে। তবু সামলানো যায়নি ভক্তদের।

ম্যারাডোনা ফুটবলবিশ্বে হাসি, কান্না ও উচ্ছ্বাসের অপর নাম। বুধবার তার মৃত্যুর খবরে স্তম্ভিত হয়ে যায় পুরো দুনিয়া। তার মৃত্যুর পর ময়নাতদন্ত হয়েছে। স্থানীয় সময় রাত ১১টায় ময়নাতদন্ত শেষে শেষকৃত্যের জন্য প্রস্তুত করা ইতিহাসসেরা ফুটবলারের দেহকে। তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছেন বুয়েন্স আয়ার্সের ডাক্তাররা। ঘুমের মধ্যেই মারা গেছেন ম্যারাডোনা। ২০০০ সাল থেকেই হৃদরোগে ভুগছিলেন। আর পরশু হৃদযন্ত্রক্রীয়া বন্ধ হয়ে মারা যান ১৯৮৬ বিশ্বকাপের নায়ক।