Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

বাদল রায়ের মৃত্যুতে কুমিল্লায় শোক কুমিল্লা

বাদল রায়ের মৃত্যুতে কুমিল্লায় শোক

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক এবং কুমিল্লা জেলা ফুটবল দলের খেলোয়াড় সংগঠক বাদল রায়ের মৃত্যুতে তিন দিনের শোক কর্মসূচী গ্রহণ করেছে কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও কুমিল্লা জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন। 

কুমিল্লার কৃতি সন্তান ও দেশ বরেণ্য এই ফুটবলরের মৃত্যুতে কুমিল্লা স্টেডিয়ামে চলমান প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগ বাদল রায়ের প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছে। তিন দিনের শোক কর্মসূচীতে কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। সোমবার অনুষ্ঠিত সোনালী স্পোটিং ক্লাব ও ওয়ান্ডার্স ক্লাবের খেলায় সকল খেলোয়াড় কালো ব্যাজ পড়ে খেলতে নামে। কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও কুমিল্লা জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সকল কর্মকর্তাবৃন্দ কালো ব্যাজ ধারণ করে।

বাদল রায়ের রূহের শান্তি কামনা করে তাঁর প্রতি শদ্ধা জানিয়ে খেলা শুরু হওয়ার পূর্বে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এ সময় তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি আরফানুল হক রিফাত, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেন। 

আরফানুল হক রিফাত বলেন, বাদল রায়ের মৃত্যুতে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো। সেই সাথে কুমিল্লা এক কৃতি সন্তানকে হারালো। তিনি গভীর শোক প্রকাশ করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। একই সাথে কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেন বলেন, কুমিল্লা ক্রীড়াঙ্গন এক অভিভাবককে হারালো। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম সোহাগ, সদস্য আব্দুল কুদ্দুস, কাউন্সিলর সরকার মাহমুদ জাবেদ, কুমিল্লা জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বাদল খন্দকার, কোষাদক্ষ মোঃ আল আমীন ভূইয়া, সদস্য মোজহার উদ্দিন সেন্টু। 

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক এবং কুমিল্লা জেলা ফুটবল দলের খেলোয়াড় সংগঠক বাদল রায় রোববার (২২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিলো ৬৫ বছর। 

বাদল রায় ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। বেশ কয়েক দিন ধরেই পেটে ব্যথাসহ নানা উপসর্গ নিয়ে রাজধানীর স্কয়ার  হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন তিনি।

কুমিল্লা জেলা ফুটবল দলের নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলেন বাদল রায়। গেল শতকের ৮০’র দশকে মোহামেডান স্পোর্টিংয়ে খেলেছেন বাদল রায়। জাতীয় দলেও তার সমান আধিপত্য ছিল। সংগঠক হিসবেও সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ ফটবল ফেডারেশনে যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর টানা তিনবার সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। জাতীয় ক্রীড়া পুরষ্কারপ্রাপ্ত এই সাবেক ফুটবলার অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনে সহ-সভাপতি ছাড়াও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

১৯৯১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে কুমিল্লা দাউদকান্দি থেকে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনও করেছিলেন তিনি।