খাগড়াছড়িতে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব পালন খাগড়াছড়ি / 
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাংসদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম শরনার্থী বিষয়ক ট্রাস্কফোসে’র চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন,‘অহিংসা পরম র্ধম-জীব হত্যা মহা পাপ’ বৌদ্ধের এমন অমর বানীকে বুকে লালন করে বৌদ্ধধর্মালম্বীরা। তাই জগতের সকল প্রাণী ও প্রকৃতির কল্যাণ কামনায় যথাযথ ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ধর্মালম্বীরা মাসব্যাপী বিভিন্ন বিহারে দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব পালন করে।
শনিবার (২১ নভেম্বর) সকাল থেকে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ সদস্য মংসুইপ্রু চেšধুরী (অপু) ও স্থানীয় দায়ক দায়িকাদের আয়োজনে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও গুইমারা উপজেলার সাইংগুলি পাড়া শাসনা বৌদ্ধ বিহারে অনুষ্ঠিত কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিঁনি এসব কথা বলেন।
এই উপলক্ষে গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ও চীবর অনুষ্ঠানের আহবায়ক চাইথোয়াই চৌধুরীর সার্বিক পরিচালনায় দিনব্যাপী ধর্মীয় কর্মসূচীর মধ্যে ছিল ভিক্ষু সংঘের প্রাত:রাশ, পরম করুণাময় তথাগত সম্যক সম্বুদ্ধের পূজা ও শীল গ্রহণসহ উপাসক-উপাসিকা কর্তৃক পূজনীয় ভিক্ষুদের উদ্দেশ্য কঠিন চীবর দান, পরমকরুণাময় গৌতম বুদ্ধের অহিংস ধর্ম নিয়ে আলোচনা সভা, প্রদীপ পূজা ও সমবেত প্রার্থনা করা।বৌদ্ধ ধর্মপ্রাণ উপাসক ও উপাসিকারা বছর ঘুরে দানোত্তম শুভ এই কঠিন চীবর দানের এই দিনটির জন্য অপেক্ষায় থাকেন।
ভিক্ষুদের চীবর দান দিতে আসা উপাসক খাগড়াছড়ির সাংসদ ও শরনার্থী বিষয়ক ট্রাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ও তাঁর সহধর্মীনী মল্লিকা ত্রিপুরা, জেলা আয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী, পাজেপ সদস্য মংক্যচিং চৌধুরী, মানিকছড়ি আওয়ামীলীগ নেতা ম্রাগ্য মারমা, মহালছড়ি আওয়ামীলীগ নেতা সুইনুপ্রু চৌধুরী, রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদিপ কারবারী, গুইমারা উপজেলা চেয়ারম্যান উশ্যেপ্রু মারমা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুষার আহমেদ, ওসি মিজানুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান মেমং মারমা, সিন্দুকছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রেদাক মারমা এবং জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় কয়েক হাজার উপাসক-উপাসিকারা দেশ ও বিদেশের সবাইকে এই কঠিন চীবর দানের পূণ্য দান ও শুভেচ্ছা জানান।
এসময় খাগড়াছড়ি মং সার্কেল ভিক্ষুসংঘের মহামান্য সংঘরাজ ভদন্ত উ: ওয়েংন্না মহাস্থবিরসহ বিভিন্ন বিহার থেকে আগত মহাথের অধ্যক্ষরা উপস্থিত ধর্মপ্রাণ উপাসক ও উপাসিকাদের ধর্ম দেশনা প্রদান করেন। পরে সমবেত প্রার্থনায় আগত ভিক্ষুসংঘ বিশ্বব্যাপী করোনা থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যে দেশ ও দেশের সকল মানুষের কল্যাণে প্রার্থণা করা হয়।
উল্লেখ্য, দেশব্যাপী পবিত্র প্রবারণা বা আশ্বিনি পূর্ণিমার পরদিন থেকেই দেশের সবগুলো বৌদ্ধ বিহারে এই কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এমন দানোৎসবে অংশ নিতে পেরে খুশী আগত উপাসক-উপাসিকারা।