Opu Hasnat

আজ ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার ২০২৪,

পিবিআইতে তনু হত্যার মামলা কুমিল্লা

পিবিআইতে তনু হত্যার মামলা

কুমিল্লার বহুল আলোচিত সোহাগী জাহান তনু হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি কুমিল্লার সাবেক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (বর্তমানে চাঁদপুরে কর্মরত) জালাল উদ্দীন আহমেদ। এর আগে মামলার তদন্তকারী সংস্থার সদস্যরা রোববার ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ তনুর বাবার সঙ্গে কথা বলেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২০ মার্চ সন্ধ্যায় কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরে একটি বাসায় টিউশনি করতে গিয়ে আর ফিরেনি তনু। রাতে বাসার অদূরে সেনানিবাসের ভেতর একটি জঙ্গলে তনুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন তার বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।

শুরুতে থানা পুলিশ, পরে ডিবি এবং ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি কুমিল্লা। একই বছরের (২০১৬) ৪ এপ্রিল ও ১২ জুন দুই দফা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তনুর মৃত্যুর কারণ খুঁজে না পওয়ার তথ্য জানায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ।

এদিকে সোমবার (১৬ নভেম্বর) রাতে তনুর ছোট ভাই রুবেল তার ফেসবুক পোস্টে মামলা পিবিআইতে যাওয়ার বিষয়টি জানিয়ে বিচার দাবি করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি কুমিল্লার সাবেক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জালাল উদ্দীন আহমেদ জানান, গত ২২ সেপ্টেম্বর পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে গত ২১ অক্টোবর তনু হত্যা মামলার সংশ্লিষ্ট সকল নথি পিবিআই ঢাকা অফিসে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

পিবিআই কুমিল্লার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, সিআইডি থেকে মামলাটি ঢাকা পিবিআইয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। মামলাটি ঢাকা অফিসই তদন্ত করছে। এর আগে গত রোববার পিবিআই ঢাকার একটি তদন্ত দল কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ তনুর বাবার সঙ্গে কথা বলেছেন।

তনুর বাবা ইয়ার হোসেন জানান, মামলা কখন সিআইডি থেকে পিবিআইতে গেছে তা জানি না। রোববার (১৫ নভেম্বর) ঢাকা থেকে কয়েকজন পিবিআই সদস্য সেনানিবাসের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তখনই জানতে পারি মামলার তদন্ত করছে পিবিআই।

এ বিষয়ে বিকালে তনুর মা আনোয়ারা বেগম জানান, ‘দুইবার লাশের ময়না তদন্ত হলো, কিন্তু মৃত্যুর কারণ ডাক্তাররা পেল না। পরে জানালো ডিএনএ রিপোর্ট এলে ঘাতক শনাক্ত হবে। সাড়ে চার বছর ধরে তদন্ত দেখে আসছি। শুরুতে সিআইডি খোঁজ খবর নিলেও তনু হত্যার কী হলো তা জানি না। কতো বার কত জায়গায় সাক্ষী দিয়ে এলাম কোন ফল পাইলাম না।’