Opu Hasnat

আজ ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ২০২৪,

এএসপি আনিসুলের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার ১০ আইন ও আদালত

এএসপি আনিসুলের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার ১০

রাজধানীর আদাবরে মানসিক হাসপাতালে কর্মচারীদের মারধরের ঘটনায় পুলিশের সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিম শিপন মৃত্যুর ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয় (৩৫), কো-অর্ডিনেটর রেদোয়ান সাব্বির, কিচেন শেফ মাসুদ (৩৭), ওয়ার্ডবয় জুবায়েত হোসেন (১৯), ওয়ার্ডবয় তানভীর হাসান (১৮), ফার্মাসিস্ট তানিফ (২০), ওয়ার্ডবয় সঞ্জীব চৌধুরী (২০), ওয়ার্ড বয় অসীম চন্দ্র পাল (২৪), ওয়ার্ডবয় লিটন আহাম্মদ (১৮) ও ওয়ার্ডবয় সাইফুল ইসলাম পলাশ (৩৫)।

মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার হারুন অর রশীদ এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘মাইন্ড এইড হাসপাতালে এএসপি আনিসুল করিম নিহতের ঘটনাটি একটি হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এ হাসপাতালের স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোনো অনুমোদন নেই, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণের কোনো অনুমোদন নেই, চিকিৎসক নেই। কয়েকজন রোগী রয়েছে, তারা চলে যাওয়ার পর আমরা হাসপাতালটি সিলগালা করে দেব। আমরা ইতোমধ্যে আমরা ১০ জনকে গ্রেফতার করেছি। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

ডিসি বলেন, এএসপি আনিসুলকে তো আর ফিরিয়ে আনতে পারব না। তবে এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, এএসপি আনিসুল বরিশালে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু কয়েকদিন ধরে তিনি বেশ চুপচাপ থাকছেন লক্ষ্য করে পরিবারের সদস্যরা তাকে শ্যামলীতে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। কিন্তু কি এমন ঘটনা ঘটল কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাকে আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে নিয়ে যেতে হলো?

তাকে ভুইফোঁড় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মাঝখানে যারা জড়িত ছিলেন, তাদের বিষয়ে আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি। সরকারি হাসপাতালের কেউ জড়িত থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হত্যাকাণ্ডের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। গ্রেফতারদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য বেরিয়ে আসবে।

মাইন্ড এইড হাসপাতালটিতে মানসিক চিকিৎসা দেওয়ার কথা বললেও তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোনো বৈধ কাজগপত্র দেখাতে পারেননি। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কোনো অনুমতি নেই তাদের। কোনো চিকিৎসক ছাড়াই ভুইফোঁড় এ হাসপাতালটি পরিচালনা করা হচ্ছিলো। হাসপাতালটির পরিচালনা পর্যদের কেউ ডাক্তার নন।

হাসপাতালের পরিচালনা পর্যদসহ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং হাসপাতালটি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।