Opu Hasnat

আজ ২৬ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

পদ্মা সেতুতে বসল ৩৪তম স্প্যান, দৃশ্যমান সেতুর ৫ হাজার ১শ মিটার মুন্সিগঞ্জ

পদ্মা সেতুতে বসল ৩৪তম স্প্যান, দৃশ্যমান সেতুর ৫ হাজার ১শ মিটার

পদ্মা সেতুতে বসল ৩৪তম স্প্যান। এর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হল সেতুর ৫ হাজার ১শ মিটার অর্থাৎ ৫.১ কিলোমিটার অংশ। মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সেতুর ৭ ও ৮ নম্বর পিলারের উপর ৩৪তম স্প্যানটি বসানো হয়েছে।

আবহাওয়াসহ খুটিনাটি সবকিছু অনুকূলে থাকায় রোববার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১০ টা ৪ মিনিটে বসানো হল ‘টু-এ’ নামের স্প্যানটি।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের ৩৪ তম স্পেন বসানোর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আরো জানান, শনিবার (২৪ অক্টোবর) বিকালে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ১৫০মিটার দৈর্ঘ্যর ধূসর রংয়ের ৩৪তম স্প্যানটি ভাসমান ক্রেন ‘তিয়ান-ই’ দিয়ে তুলে নিয়ে স্প্যানটি নির্ধারিত পিলারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বৈরী আবহাওয়া, পদ্মা নদীতে তীব্র বাতাস ও আলো স্বল্পতার কারনে শনিবার স্পেনটি বসানো সম্ভব হয়নি।

তাই কতৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি রোববার সকালে বসানো হল স্পেনটি। আবহাওয়াসহ সবকিছু অনুকুলে থাকায় ৩৪ তম স্প্যানটি মুল সেতুর ৭ ও ৮ নম্বর পিলারের উপর স্থাপন করা হল।

৩৩ তম স্পেন বসানোর ৫ দিনের মাথায় ৩৪ তম স্পেনটি স্থাপন করা হল।

পদ্মা সেতুর প্রকৌশলী সূত্রে আরো জানা গেছে, ৩৪তম স্প্যানের পরে আগামী  ৩০ অক্টোবর ২ এবং ৩ নম্বর পিলারের ওপর ৩৫তম স্প্যান,  নভেম্বর মাসের ৪ তারিখ ৩৬তম স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

আর আগামী ১০ডিসেম্বরের মধ্যে সকল স্প্যান বাসানোর নির্দেশনা রয়েছে সেতু সচিবের। এর আগে সর্বশেষ ১৯অক্টোবর সেতুতে বসানো হয়েছিলো ৩৩তম স্পেনটি।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর ক্রমান্নয়ে একে একে বসানো হল ৩৪টি স্প্যান। এতে দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর ৫ হাজার ১০০মিটার মিটার অংশ।

৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেয়ার কথা রয়েছে।