Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

কোভিড-১৯ টিকা ক্রয়ে বিশ্বব্যাংকে ৪২৫০ কোটি দেয়ার অনুরোধ জাতীয়

কোভিড-১৯ টিকা ক্রয়ে বিশ্বব্যাংকে ৪২৫০ কোটি দেয়ার অনুরোধ

জনসংখ্যাধিক্যের ভিত্তিতে বিশ্ব ব্যাংককে টিকা ক্রয়ে বাংলাদেশের জন্য নায্যতার সঙ্গে দ্রুত ঋণ মঞ্জুরের আহ্ববান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। টিকা কিনতে সংস্থার কাছ থেকে ৫০ কোটি ডলার চাওয়া হয়েছে। প্রতি ডলার সমান ৮৫ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। আজ অর্থ-মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ এর বার্ষিক সভা-২০২০ এর অংশ হিসাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের নেতৃত্বে একটি ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ও বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শ্যেফার ভার্চুয়াল সভায় অংশ নেন।

সভার শুরুতে অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশ্ব ব্যাংকের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি কোভিড-১৯ টিকা ক্রয়ের জন্য ঋণ সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে আইডিএ ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে জনসংখ্যাধিক্যের দিক দিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশের জন্য জনসংখ্যার ভিত্তিতে নায্যতার সঙ্গে দ্রুত ঋণ মঞ্জুরের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য মি হার্টউইগ শ্যেফার এর সহযোগিতা কামনা করেন।
অর্থমন্ত্রী কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের গৃহীত দ্রুত ও সময়োযোগী বিভিন্ন উদ্যোগেরও প্রশংসা করেন। তিনি এ প্রসঙ্গে কোভিড-১৯ মোকাবেলার ক্ষেত্রে দ্রুততার সঙ্গে বাংলাদেশকে ১০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ করেন। বিশ্বব্যাংকও এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেন যে বাংলাদেশের বিষয়টি অবশ্যই ইতিবাচকভাবে দেখা হবে।

সভায় প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায় অনুযায়ী করোনার টিকা আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে দেশের সকল জনগনের জন্য টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণের কথা বলেন।

বর্তমান চলতি অর্থ-বছরে বাংলাদেশের জন্য বিশ্ব ব্যাংকের আইডিএ ১৯ এর আওতায় বরাদ্দকৃত অর্থের অতিরিক্ত হিসাবে করোনা টিকা আমদানী, ক্রয়, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বিতরণের কাজে ব্যবহারের উদ্দশ্যে ৫০ কোটি মার্কিন ডলারের সহায়তা প্রদানের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়। কোভিড-১৯ এর কারণে সংঘটিত দেশের বিভিন্নমুখী ক্ষয়-ক্ষতি পূরণের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত কোভিড-১৯ রিকভারি অ্যান্ড রেসপন্স প্রকল্পের মোট বরাদ্দ ৫০ কোটি ডলার। চলতি অর্থ বছরে জরুরি ভিত্তিতে অন্তত ২৫ কোটি ডলার ছাড়করণের জন্য বিশ্বব্যাংকের প্রতি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।