Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

কোনাবাড়ি থানার এক এসআইয়ের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবীর অভিযোগ! গাজীপুর

কোনাবাড়ি থানার এক এসআইয়ের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবীর অভিযোগ!

গাজীপুর মেট্রোপলিটন (জিএমপি) কোনাবাড়ি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ আবু সাইদ মিয়ার বিরুদ্ধে ভূয়া অভিযোগ তুলে উৎকোচ দাবী করার অভিযোগ উঠেছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী কোনাবাড়ি কুদ্দুসনগর পেয়ারা বাগান এলাকার মোঃ কবির হোসেন ও মো: আব্দুর রহিম।

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর ২০২০ইং) দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টাসে গিয়ে তারা লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে জানায়, বর্তমানে জিএমপি কোনাবাড়ি থানায় কর্মরত এসআই মোঃ আবু সাইদ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘুষ দাবীসহ নানা ভাবে হয়রানি করে আসছে।

জানা গেছে, গত ৭ অক্টোবর কোনাবাড়ি কুদ্দুসনগর পেয়ারাবাগানসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি এলাকায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। ওই অভিযান চলাকালে ভুক্তভোগী কবির, রহিমরা ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকেন। এসময় বিভিন্ন বাসাবাড়িতে অবৈধ গ্যাসের অভিযান চলে। কবির ও রহিমদের দাবী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ তিতাসের কোনো কর্মকর্তা তাদের বাসায় তল্লাশী চালিয়ে কোনো প্রকার অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের প্রমান পায়নি। অথচ কোনাবাড়ি থানার এসআই আবু সাইদ মিয়া নানাভাবে তাদেরকে হয়রানি করে আসছেন।

অভিযোগে জানায়, তিতাসের অভিযান চলাকালে কোনাবাড়ি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু সাইদ মিয়া কবির ও রহিমের বাসায় প্রবেশ করেন এবং অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। বর্তমানে ওই পুলিশ কর্মকর্তা এরপর থেকে প্রতিনিয়ত ভুক্তভোগীদের মোবাইল ফোনে, কখনো বা বাসায় গিয়ে মামলার হুমকী দিয়ে আসেন এবং তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন।

অভিযোগে আরো জানায়, গত ১২ অক্টোবর ২০২০ইং  বিকেলে এসআই আবু সাইদ মিয়া কবিরের বাসার নিচে গিয়ে কবিরের স্ত্রী শাহিনা আক্তার রেখা ও রহিমের স্ত্রী মর্জিনা বেগমসহ দুইজনকে ডেকে ২৫ হাজার টাকা করে মোট ৫০ পঞ্চাশ হাজার টাকা যোগাড় করে তার (এসআই) এর সঙ্গে দেখা করতে বলেন। তা না হলে মামলা দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করার হুমকী দেন এসআই আবু সাইদ। এক প্রকার ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে ভুক্তভোগীরা বাড়ি ছাড়া হয়ে অন্য কোথাও গিয়ে আশ্রয় নেন এবং রাত্রিযাপন করেন। তারা এসআই আবু সাইদের হয়রানি থেকে বাঁচার জন্য গাজীপুর মেট্রোপলিটন হেডকোয়ার্টারে গিয়ে আজ ১৩ অক্টোবর লিখিত অভিযোগ করেন। এছাড়াও ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আসামিদের সঙ্গে আতাঁত করে চলারও অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, কোনাবাড়ি থানার এসআই আবু সাইদ টাকা ছাড়া কিছুই বুঝেন না। কোনো মামলা তদন্ত করার আগেই তাকে মোট অঙ্কের টাকা ঘুষ দিতে হয়। টাকা না দিলে তিনি কাজ করেন না। এসআই আবু সাইদের সঙ্গে তার মুঠোফোনে কল দেয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে কোনাবাড়ি থানার ওসি মোঃ এমদাদ হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে নাম্বার ব্যস্ত দেখা গেছে।

জিএমপি’র কোনাবাড়ি জোনের সিনিয়ার সহকারি পুলিশ কমিশনার থোয়াই অংপ্রু মারমা বলেন, আমি দুইদিন ধরে কেরাণীগঞ্জে একটি ভিকটিম উদ্ধার করতে আসছি। আবু সাইদ এর ব্যাপারে আমাকে কেউ অভিযোগ করেনি। এ অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।