Opu Hasnat

আজ ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ২০২৪,

পিছিয়ে নেই বিতর্কিতরাও

রাজাপুর উপজেলা ছাত্রলীগে পদ পেতে নেতাদের দৌড় ঝাঁপ ঝালকাঠি

রাজাপুর উপজেলা ছাত্রলীগে পদ পেতে নেতাদের দৌড় ঝাঁপ

ঝালকাঠি জেলাজুড়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ পদ ভাগিয়ে নিতে ইতিমধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। ঊর্ধ্বতন মহলে করছেন জোর লবিং, তদ্বির ও দৌড় ঝাঁপ। এক্ষেত্রে বিতর্কিতদের তৎপরতা বেশি দেখা যাচ্ছে। পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী, পুলিশের কাছ থেকে আসামী ছিনতাই মামলার আসামী, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গে শোকজপ্রাপ্ত, আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর বিরোধীতা ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সাথে প্যানেল দিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা, ব্যবসায়ী, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী সরকারী চালের ডিলার, মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সখ্যতা, ছাত্রদল-শিবিরকে গোপনে পৃষ্ঠপোষকতা করা এবং বিবাহিত। তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবী, স্বচ্ছ ও ক্লিন ইমেজের  লোক দিয়ে উপজেলা কমিটি ঘোষণা করা। 

নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, সভাপতি পদ প্রত্যাশী রয়েছেন বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল হাসান বাপ্পী, শহর ছাত্রলীগ সভাপতি রিজভী সাব্বির, পারভেজ বাবু ও ফয়সাল মৃধা। সাধারন সম্পাদক পদ প্রত্যাশী রয়েছেন মোঃ আবু রাসেল, গোলাম রাব্বানী, মোঃ বেলাল হোসেন, রিগান, মোঃ ইমরান। 

তথ্যানুসন্ধানে নাম প্রকাশ না করার শর্তে নেতাকর্মীদের কাছ থেকে জানাগেছে, সভাপতি প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল হাসান বাপ্পী যোগ্য এবং আওয়ামী পরিবারের সন্তান। তবে বর্তমান কমিটির সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকালে অধিনস্ত কমিটিগুলো না করা এবং নিজ উপজেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি করায়ও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। গত উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের বিদ্রোহী প্রার্থী মিলন মাহমুদ বাচ্চু মৃধার (আনারস) সাথে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ভাইসচেয়ারম্যান পদে প্যানেল দিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক এবং বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামান রুবেলকে হত্যাচেষ্টা মামলার চার্জশীট ভুক্ত আসামী। মামলা ঝালকাঠি কোর্টে বিচারাধীন । এছাড়া উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি একক স্বাক্ষরে অনুমোদন দেয়ায় ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র পরিপন্থি হওয়ায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগ কর্তৃক শোকজ প্রাপ্ত হয়েছিলেন। আন্তঃউপজেলা মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সখ্যতা থাকারও অভিযোগ রয়েছে বাপ্পীর বিরুদ্ধে। 

সভাপতি প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল হাসান বাপ্পী জানান, উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার পরে আমাদের মিছিলে সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামান রুবেল হামলা চালালে সংঘর্ষ বাধে। এতে সে মারাত্মক জখম হয়ে আমাদের নবগঠিত কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকসহ অনেক নেতাকর্মীর নামে হত্যা চেষ্টার মামলা করে। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন আছে। সেই মামলার মোকাবেলা করা, এরপর ইউনিয়ন পরিষদ, জাতীয় সংসদ ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ব্যস্ততম সময়ের মধ্যেও রাজাপুর সদর, গালুয়া, বড়ইয়া ও সাতুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গত উপজেলা নির্বাচনে বই প্রতিকে ভাইসচেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দেয়া চাঁদার টাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। নিজের প্রার্থীতা নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করতে হয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থীর সাথে প্যানেল দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রশ্নই ওঠে না। উপজেলার আপামর জনসাধারনের কাছে গ্রহণযোগ্যতা ও ভালোবাসা থাকায়ই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি, এক্ষেত্রে ভালো-মন্দ সবার সাথেই সম্পর্ক রাখতে হয়েছে। সাতুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটির ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগ কারন দর্শানোর নোটিশ করলে তার সন্তোষজনক জবাব দেয়ায় আর কোন পদক্ষেপ নেয়নি। 

খান রিজভী সাব্বিরের নামে বৈবাহিক বন্ধনের অভিযোগ রয়েছে। এব্যাপারে রিজভী সাব্বির কোন কথা বলতে রাজি না হলেও অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে উপজেলা ছাত্রলীগের একাধিক নেতৃবৃন্দ জানান, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে তার পরিবার এবং তাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে তবে মামলার বাদী সঠিক প্রমাণ না দিতে পেরে আদালতে ভিকটিমের সাথে তার বিয়ে হয়েছে বলায় বিয়ের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেশ করতে ব্যর্থতা এবং আদালত সাক্ষীদের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় খারিজ করে বেকসুর খালাস প্রদান করে। উপজেলাজুড়ে তার ক্লিন ইমেজ থাকা এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা মনিরুজ্জামান মনিরের ভাগ্নে হওয়াটাই মনে হয় তার বড় অপরাধ, তাই তার চরিত্রে কালিমা লেপন করার ব্যার্থ চেষ্টা হচ্ছে।

পারভেজ বাবু সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ১০টাকা দরে চাল বিতরণের সরকার কর্তৃক নিয়োজিত ডিলার। করোনাকালীন সময়ে চাল বিতরণে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে বিতর্কের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তিনি নৌকার টিকিটে মঠবাড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের ডান হাত বলে পরিচিত। গত উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেন। উপজেলা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির আহ্বায়কের সাথে ঠিকাদারি ব্যবসার অংশীদারিত্ব রয়েছে পারভেজ বাবু’র। ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরের নেপথ্যে পৃষ্ঠপোষকতা করছেন বলেও নেতাকর্মীদের অভিযোগ।

পারভেজ বাবু জানান, উপজেলা ছাত্রলীগে পুর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় বর্তমানে কোন পদে নেই। ২০০১ সালে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র থাকা অবস্থায়ই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে ছাত্রলীগে সম্পৃক্ত হই। ওই সময়ের অনেক সহপাঠি ছাত্রলীগ ছাড়াও বিভিন্ন দলের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ায় তাদের সাথে বন্ধৃত্বের সম্পর্ক থাকাটাই স্বাভাবিক, তবে ব্যক্তিগত সম্পর্ক আর রাজনৈতিক সম্পর্ক দুটো এক না। ডিলারশীপের ব্যবসা থেকে কয়েকমাস আগে অব্যাহতির জন্য আবেদন করেছি। উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ছুটিতে থাকায় এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হচ্ছে না। ডিলারশীপের জন্য সেখানে জমা থাকা জামানাতের ব্যাপারে অফিসের বিধি অনুযায়ী যে সিদ্ধান্ত নিবে তাই মেনে নেয়া হবে। যতদিন ডিলারশীপের ব্যবসা করেছি ততদিন স্বচ্ছতার সাথেই করেছি বলেও দাবি করেন তিনি। 

ফয়সাল মৃধা উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামান রুবেলকে হত্যাচেষ্টা মামলার চার্জশীট ভুক্ত আসামী। অপর এক আসামী পুলিশ আটক করলে হ্যান্ডকাপসহ আসামী ছিনতাই মামলার আসামী।

ফয়সাল মৃধা জানান, কিশোরকাল অর্থাৎ ৭ম শ্রেণিতে পড়ার সময়ই ছাত্রলীগের সাথে জড়িত। বর্তমানে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতেছি। ২০১৪ সালে রাজাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার পরে আনন্দ মিছিল বের করলে ওই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেলের নেতৃত্বে কয়েকজনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরাও প্রতিহত করতে পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়লে উভয় পক্ষের কয়েকজনে আহত হন। এতে রুবেল গুরুতর আহত হলে তাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় এক ছাত্রলীগের নেতাকে পুলিশ আটক করলে তার সাথে দেনদরবারে ছেড়ে দিতে রাজি হন। ইতিমধ্যে কয়েকজন সাংবাদিক ও জনসাধারন জড়ো হলে পুলিশ বেকায়দায় পড়ে ছেড়ে দিলে ওই আসামী ছিনতাইয়ের একটি নাটক সাজানো হয়। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আসামী ছিনতাইয়ের মামলার আসামী করা হয়। যা আদালতে বিচারাধীন শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলেও জানান ফয়সাল। 

সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মোঃ আবু রাসেল হোসেন একসময়ে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ততা ছিলো। এরপর তিনি ছাত্রলীগের কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত হন। পিতা আলী হোসেন ছিলেন রাজাপুর সদর ইউনিয়নের ৫নং আলগী ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি। গত উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেন বলে অভিযোগ আছে। 

আবু রাসেল জানান, ২০০৮ সালে ৭ম শ্রেণিতে পাইলট স্কুলে পড়ার সময়ে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত হই। অনেক সহপাঠিদের মধ্যে একেকজনের মানসিকতা ছিলো একেকরকম। প্রত্যেকেই আলাদা আলাদা আদর্শে অনুপ্রাণিত ছিলো, তাই দলের সাথে সম্পৃক্ততায় বিভাজনও ছিলো সেভাবে। এজন্য আমাদের সহপাঠিদের মধ্য থেকে ছাত্রলীগ ও বিপরীতমূখী দলের নেতা হয়েছেন। ক্লাসমেট হওয়ায় অনেকের সাথেই কথা বলতে হয়। ব্যক্তি এবং দলীয় কার্যক্রম এক না। বর্তমানে এমবিএ’র ছাত্র বলেও জানান তিনি। রাসেল আরো জানান, পিতা আলী হোসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ ঠিকাদারী ব্যবসা শুরু করেন। তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবে ২০১০ সালে হজ্বব্রত পালন করেন। ঠিকাদারী ব্যবসার স্বার্থে সবার সাথেই তার ভালো সম্পর্ক ছিলো। তিনি ব্যক্তিগতভাবে কোন দলের হয়ে কাজ না করলেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মনেপ্রাণে লালন করেন। 

মোঃ রিগান হোসেন’র বিরুদ্ধে বিবাহের অভিযোগ আছে। গালুয়া ইউনিয়নের পাকাপুল এলাকায় এক ব্যবসায়ীর মেয়েকে বিয়ে করেছেন তবে সেও কমিটি পাবার আশায় বিষয়টি ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করতেছেন বলে জানাগেছে।

সৈয়দ রিগান জানান, ২০০৪ সালে পিংড়ি ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন, ২০১১ সালে শুক্তাগড় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন এবং ২০১৪ সাল থেকে রাজাপুর ডিগ্রি (বর্তমানে সরকারী) কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। গত উপজেলা নির্বাচনে ছাত্রলীগের অনেক নেতা আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিয়েছে। লোভ এবং ভয়ের উর্ধ্বে থেকে বঙ্গবন্ধুর নৌকার হাল ধরেই নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিয়েছি। নির্বাচনী সহিংসতার শিকার হয়ে ৩টি মামলার আসামী ও ১টি মামলার বাদী হয়েছি। পারিবারিকভাবে বিয়ে করানোর জন্য অভিভাবক পাত্রী খুজতেছিলেন। এতে আমি বিবাহিত বলে গুজব ছড়িয়েছে। এখন পাত্রী দেখতেও নিষেধ করেছি। 

মোঃ ইমরান জানান, ২০০৬ সালে পাইলট স্কুলে ৭ম শ্রেণিতে পড়াকালীন সময়ে ছাত্রলীগের স্কুল কমিটির সভাপতি ছিলাম। এসএসসি পাশ করে রাজাপুর ডিগ্রি (বর্তমান সরকারী) কলেজে এইচএসসিতে ভর্তি হলে কলেজের পুর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়া কোন পদে না থাকলেও আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছি। 

গোলাম রাব্বি জানান, রাজাপুর সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। নিজেকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক পদ দিলে উপজেলা ছাত্রলীগের কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তবুও উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ যাদের যোগ্য মনে করে দিবেন তাই মেনে নিবো। 

বেলাল হোসেন জানান, তৃণমূল পর্যায়ে থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে ছাত্রলীগের রাজনীতি করছি। উপজেলা ছাত্রলীগের কার্যক্রম যেহেতু শহর এবং তৃণমূল পর্যায়ে, আর বৃহত্তর অংশটিই তৃণমূলে। তাই তৃণমূলের রাজনীতিতে নিজেকে যোগ্য মনে করে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক পদ পেলে ছাত্রলীগের কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করার আশা ব্যক্ত করেন। তবুও উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ যাদের যোগ্য মনে করে পদ দিবেন তাই মেনে  নেয়ার কথাও জানান তিনি।