Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা প্রতিদিন সাড়ে ৫ হাজার মে.টন

মধ্যপাড়া খনিতে তিন শিফটে পাথর উত্তোলন শুরু দিনাজপুর

মধ্যপাড়া খনিতে তিন শিফটে পাথর উত্তোলন শুরু

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে দেশের একমাত্র পাথর খনি মধ্যপাড়ায় তিন শিফটে পাথর উত্তোলন শুরু করেছে খনির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মানীয়া-টেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)। বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই তিন শিফটে পুরোদমে খনির উন্নয়ন ও  পাথর উত্তোলন কাজ শুরু করা হয়। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে গত ১৬ আগষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসি শুরুতে এক শিফটে পাথর উত্তোলন শুরু করে। এর পরপরই প্রতিদিন দুই শিফটে উৎপাদানে যায়। উৎপাদন সিডিউল অনুযায়ী প্রতিমাসে তিন শিফটে ১ লাখ ২০ হাজার মে.টন পাথর উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্দ্ধারন করা হয়।  

করোনার কারনে গত ২৬ মার্চ থেকে ১৫ আগষ্ট পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার মাস খনির পাথর উত্তোলন বন্ধ ছিল। নতুন উদ্যমে পাথর উত্তোলন শুরু হওয়ায় শ্রমিকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে গোটা খনি এলাকা। 

করোনায় উৎপাদন বন্ধ থাকা সত্বেও গত ২৯ এপ্রিল থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৫৫ কোটি টাকা মূল্যের প্রায় ৬ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন পাথর বিক্রি হয়েছে। এখনও খনি ইয়ার্ডে আরও প্রায় ১ লাখ মে.টন পাথর মজুদ রয়েছে। করোনার আগে জিটিসি এ খনি থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন করে খনির উৎপাদন ইতিহাসে নয়া রেকর্ড গড়ে। এর ফলে পাথর খনিটি লোকসানী প্রতিষ্ঠানের ধারা থেকে বেরিয়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।   

পাথর উৎপাদান বন্ধ থাকার পর আগষ্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে জিটিসি তাদের অধীনে কর্মরত সকল শ্রমিকদের করোনা পরীক্ষার পর উত্তীর্ণ শ্রমিকদের দিয়ে খনির উন্নয়ন ও উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে তিন শিফটে উৎপাদন শুরু হওয়ায় করোনার কারনে খনির পাথর উৎপাদন অব্যাহত রাখা নিয়ে যে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছিল তা দুর হয়েছে। 

বর্তমান সরকার খনির উৎপাদন ব্যবস্থা আরও গতিশীল করতে ২০১৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর একমাত্র দেশীয় মাইনিং কোম্পানী জামার্নীয়া কপোর্রেশন লিমিটেড ও বেলারুশের কোম্পানী ট্রেস্ট এসএস এর যৌথ প্রতিষ্ঠান জামর্াানীয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) এর সাথে ১৭১.৮৬ মিলিয়ন ডলারের ৬ বছরের জন্য একটি চুক্তি করে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসি বেলারুশের খনি বিশেষজ্ঞ এবং দেশীয় প্রকৌশলীসহ প্রায় সাড়ে ৭শ’ খনি শ্রমিক নিয়ে নিরলশভাবে কাজ করছেন। 

মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবিএম কামরুজ্জামান বলেন, বর্তমানে মধ্যপাড়ার পাথর ব্যবহারে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের উদ্যোগে সাড়া দিয়ে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রেলপথ ও সড়ক সেতু মন্ত্রনালয়সহ বহু সরকারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজে মধ্যপাড়ার পাথর ব্যবহার করছেন। এ ঘটনা মধ্যপাড়ার পাথরের চাহিদা ও বিক্রি বৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।