Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

গোমতীর বালু অবৈধভাবে উত্তোলন, আ.লীগের ১২ নেতা-কর্মির বিরুদ্ধে মামলা কুমিল্লা

গোমতীর বালু অবৈধভাবে উত্তোলন, আ.লীগের ১২ নেতা-কর্মির বিরুদ্ধে মামলা

গোমতী নদীর বালু মহাল দখল করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাতসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার শুনানি শেষে আগামী ৪ অক্টোবর এ বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেন কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক শাহানাজ মনির। সোমবার দুপুরে ওই মামলার শুনানি হয়।

এর আগে, রবিবার আওয়ামী লীগ নেতা আরফানুল হক রিফাতসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন মাহবুবুর রহমান নামের এক ব্যক্তি। তিনি মেসার্স এম.রহমান নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং গোমতী নদীর বালু মহালের পাঁচটি অংশের ইজারাদার।

মামলায় আরফানুল হক রিফাত ছাড়াও অন্য অভিযুক্তরা হলেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল, সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান রাফি রাজু, আমীর হোসেন, শাহজাদা টুটুল, হাফিজুল ইসলাম, সাইফুল, নুরুজ্জামানসহ মোট ১২ জন।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ সালাউদ্দিন বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ২০০ ধারায় বাদীর জবানবন্দি নিয়েছেন। আদালত মামলাটির বিষয়ে ৪ অক্টোবর আদেশ দেবেন।

মামলার বাদী মাহবুবুর রহমান এজাহারে উল্লেখ করেন, আরফানুল হক রিফাত ও তার লোকজন অবৈধভাবে গোমতী নদীর ১৩টি ঘাট থেকে ২৫টি নৌকা দিয়ে ৩০ লাখ ঘনফুটের বেশি বালু উত্তোলন করছেন। যার মূল্য দুই কোটি ৭০ লাখ টাকা। কিন্তু তিনি বৈধ ইজারাদার হয়েও অবৈধ দখলকারীদের তৎপরতায় ঠিকমতো বালু উত্তোলন করতে পারছেন না। ঠিকাদারের নিযুক্ত কর্মীরা ইজারাস্থানে গেলে তাদের হুমকি দেওয়া হয়। লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। অভিযুক্তরা যেকোনও সময় প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটাতে পারেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

এদিকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেসার্স রিফাত কনস্ট্রাকশনের মালিক ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত। তিনি বলেন, ওই ৫টি ঘাট অবৈধভাবে ইজারা নিয়ে মাহবুবুর রহমান নদীর মোট ২৯টি অংশ দখল করেছেন। তিনি উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে একের পর এক গোমতী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন। আমি এবং আমার লোকজনের বিরুদ্ধে মামলায় যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি এ ঘটনায় গত ১৯ জুলাই উচ্চ আদালতে একটি রিট পিটিশন দাখিল করি। এরপর উচ্চ আদালত ওই ইজারা প্রক্রিয়ার সব কার্যক্রমে স্থিতাবস্থা জারি করেন। যা এখনও বহাল রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা কোনও বালু উত্তোলন করছি না। মূলত আমাদের আগের উত্তোলন করা বালুগুলো আমরা করোনার কারণে বিক্রি করতে পারিনি। আগে উত্তোলনের পর স্তুপ করে রাখা বালুগুলোই আমরা বিক্রি করছি। অভিযোগকারীই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন বলে দাবি করেন তিনি।