Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

সুনামগঞ্জে বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশনের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জে বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশনের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জড়িয়ে অসত্য এবং উদ্দেশ্যমূলক তথ্য প্রদান করে সংবাদ পরিবেশন এবং ক্রয়কৃত ভূমি আত্মসাতের প্রতিবাদে এক জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সোমবার বিকালে উপজেলার বোগলাবাজারে এক সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, দোয়ারাবাজার উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়নের বোগলাবাজারের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে সম্প্রতি অনেক অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে একটি স্থানীয় পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে সংবাদ পরিবেশন করিয়েছেন। যা সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গসহ অন্যানদের সম্মানহানি ঘটেছে।     

ওই সংবাদে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আহমদ আলী আপনকে ঘিরে বলা হয়েছে- মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বসত ঘরের সাীমনার সামান্য জমি দখল করেছেন এবং তিনি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বসত বাড়ির ইন্দারা (কুপ) এর নিকটবর্তী খোলা লেট্রিন ব্যবহার করছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং মৃত্যু সনদ সংক্রান্ত যে বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে, তাও বানোয়াট । 

একই ভাবে বোগলাবাজার ইউনিয়নের বোগলাবাজার গ্রামের সারফুল ও ধর্মপুর গ্রামের শাহজাহান কবির ইকবাল এর বিরুদ্ধে বলা হয়েছে, তারা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে অন্যদের দিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। অথচ এটিও মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। ওই পরিবারকে ভয়ভীতি দেখানোর কোনো কারণ নেই। নিছক সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য আমাদের জড়িত করে কাল্পনিক সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। 

অপর দিকে বোগলাবাজারের বাসিন্দা মো. সুলতানের পুত্র মনির ও তার  পরিবারের লোকজন মুক্তিযোদ্ধার মেয়ের বাসার রাস্তা বন্ধ করে বাসায় একাধিকবার হামলা ও এসিড নিক্ষেপ করে এবং মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন মাস্টারের নাতিদের হত্যার হুমকি দেয়। এছাড়াও বাজারের সুলতানের পুত্র মনির, মৃত সেকান্দরের পুত্র মাসুদ মিয়া, নিলুফা ইয়াসমিন, রানোয়া আক্তার, সাহেদা আক্তার ইতোপূর্বে অনকেবার প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে তারা মুক্তিযোদ্ধার কন্যা শিল্পীর বাসায় হামলার পাশাপাশি তার  উচ্চ শিক্ষিত মেয়েদের উপর ইভটিজিং ও অকথ্য গালিগলাজ করা সহ এসিড নিক্ষেপ করে মারার হুমকি দিয়ে আসছে। যা সম্পূর্ণই ভিত্তিহীন ও মিথ্যা এবং বানোয়াট। 
 
সাংবাদিক সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০০৮ সালে সাবেক বৃহত্তর লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের দুই বারের ইউপি সদস্য প্রয়াত সামছুল আলম । বোগলাবাজার গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেনের স্ত্রী লতিফা বেগম (বিমলা) এর নিকট থেকে ২ শতক ভূমি মৌখিক চুক্তি এবং স্বাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে নগদ দেড় লাখ টাকা দিয়ে ক্রয় করেন। পরবর্তীতে আকস্মিক মৃত্যুও কারণে জীবদ্দশায় সাব কাবলা রেজিষ্ট্রার দলিল নিতে পারেননি। সামছুল আলওে মৃত্যুর পর তার উত্তারাধিকারী গণ জমির দখল ও রেজিষ্ট্রারি চাইলে মুক্তিযোদ্ধার পরিবার তা দিতে অস্বীকার করেন। এ নিয়ে তৎকালে ৭ নং লক্ষ্মীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমীরুল হকের নেতৃত্বে এক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিচার সালিশে তৎকালী ৮২ গ্রামের বিচার মন্ডলী উপস্থিত ছিলেন। ওই সালিশে স্বাক্ষী প্রমাণ সাপেক্ষ সিদ্ধান্ত হয় প্রয়াত সামছুল আলমের পরিবারকে ওই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে ২ শতক ভূমি সাবকাবলা মূলে রেজিষ্ট্রারি দিয়ে দেবে। কিন্তু এর পরে তারা দেই দিচ্ছি বলে রেজিষ্ট্রারি আর দেয়নি। তারা বিভিন্ন ভাবে প্রভাব প্রতিপত্তি দেখিয়ে টাকা ও জমি কোনোটিই দেয়নি। সালিশ বিচারের রায়কে উপেক্ষা করে তারা উল্টো নানাভাবে হয়রানী করার পায়তারা করে। জমি চাইলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার বলে হুমকি ধমকি দিতে থাকে এবং বিভিন্নভাবে মামলা মোকদ্দমা করে হয়রানীর করারও হুমকি দেয়।

সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বোগলাবাজার ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আহমদ আলী আপন, বোগলাবাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সেক্রেটারি ছিদ্দিকুর রহমান, সাবেক সেক্রটারী শাহজাহান কবির ইকবাল, ইজারাদার জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, বাজার ব্যবসায়ী ডা: হাফিজুল ইসলাম, মাসুদ মিয়া, সুলতান আহমদ, উজ্জল খাঁন, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। 

এই বিভাগের অন্যান্য খবর