Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলা ; নিহত প্যানেল মেয়র নজরুলের স্ত্রীর শুনানি অনুষ্ঠিত আইন ও আদালত

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলা ; নিহত প্যানেল মেয়র  নজরুলের স্ত্রীর  শুনানি অনুষ্ঠিত

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় মামলার বাদী নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা হোসেন বিউটির নারাজি আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩৫জনকে আসামি করে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে তিনি এই নারাজি শুনানি দেন।

 

সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এইচ এম শফিকুল ইসলামের আদালতে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আগামী ৮ জুলাই পুনরায় শুনানির তারিখ নির্ধারণ করে ওই দিনই নারাজি আবেদনের আদেশের জন্য নির্ধারণ করেন আদালত। এসময় আদালতে র‌্যাবের প্রাক্তন তিন কর্মকর্তা লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার এম এম রানাসহ মামলার ৩২ জন আসামিকে হাজির করে পুলিশ।

 

তবে সাত খুনের ঘটনায় দায়ের করা আরেক মামলার বাদী নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল পুলিশের দেওয়া এ অভিযোগপত্রের ব্যাপারে তার কোনো আপত্তি নেই বলে আদালতে জানিয়েছেন।

 

এর আগে গত ৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ মন্ডল নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে র‌্যাবের প্রাক্তন তিন কর্মকর্তা লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার এম এম রানাসহ ১৭ জন র‌্যাব সদস্য ও কাউন্সিলর নূর হোসেনের সহযোগীসহ মোট ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এর মধ্যে ২২ জন কারাগারে আটক এবং ভারতে আটক নূর হোসেনসহ পলাতক আছে ১৩ জন।

 

সাত খুনের ঘটনার এক মামলার বাদী নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি জানান, তার নারাজি আবেদন মঞ্জুর না হওয়া পর্যন্ত আদালতে তার আবেদন অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য সিআইডিতে হস্তান্তর করার জন্য আদালতে আবেদন করেছি। মূল আসামিদের চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আমি চাই মূল আসামিদের চার্জশিটভুক্ত করে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন বলেন, অভিযোগপত্রে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে এবং হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত অনেককেই বাদ দেওয়া হয়েছে।

গত বছরের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের এবং এর পরদিন আরও একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ পৃথক দুটি মামলা করা হয়। ২৮ এপ্রিল কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা করেন। ৭ মে নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা ডা. বিজয় কুমার পালের দায়ের করা মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।