Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

দুই এনআইডি মামলায় ডা. সাবরিনা ২ দিনের রিমান্ডে আইন ও আদালত

দুই এনআইডি মামলায় ডা. সাবরিনা ২ দিনের রিমান্ডে

দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেওয়ার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়ের করা মামলায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের বরখাস্ত চিকিৎসক ডা. সাবরিনা শারমিন ওরফে সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ রিমান্ড আদেশ দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট প্রণব কান্তি ভৌমিক তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। অন্যদিকে রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আব্দুল্লাহ আবু। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সাবরিনার জামিন আবেদন খারিজ করে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে আজ সকালে আদালতে হাজির করা হয় ডা. সাবরিনাকে। এ সময় ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালত এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখান।

গত ১ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক মমিনুল ইসলাম সাবরিনাকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। পরে আদালত ডা. সাবরিনার উপস্থিতিতে গ্রেফতার দেখানোপূর্বক ৫ দিনের রিমান্ড শুনানির জন্য আজকে দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী মামলার এজাহার গ্রহণ করে সাবরিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। 

গত ৩০ আগস্ট বাড্ডা থানায় মামলাটি দায়ের করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া। মামলায় ডা. সাবরিনাকে একমাত্র আসামি করা হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, বর্তমান সাবরিনার দুটি এনআইডি কার্ড সক্রিয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি টের পাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য চেয়েছে। সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। তিনি প্রথমে ভোটার হন সাবরীনা শারমিন হোসেন নামে। একটিতে জন্ম তারিখ দেওয়া ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। প্রথমটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর এইচ হক। আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী।

অন্যদিকে করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে। করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগ এনে গত ২৩ জুন তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন কামাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি। মামলায় পেনাল কোডের ১৭০/২৬৯/৪২০/৪০৬/৪৬৬/৪৭১/৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে একাধিক ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছরের কারাদণ্ড।

গত ১২ জুলাই দুপুরে সাবরিনাকে তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে তেজগাঁও থানায় করা মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ।