Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

দামুড়হুদায় গরুর বাজারে ধস : বিপাকে খামারিরা, মাংস বিক্রেতাদের পোয়া বারো! চুয়াডাঙ্গা

দামুড়হুদায় গরুর বাজারে ধস : বিপাকে খামারিরা, মাংস বিক্রেতাদের পোয়া বারো!

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় গরুর বাজারে ধস নেমেছে। গরু বিক্রি করে লাভতো দুরের খথা আসল টাকা তুলতে পারছেনা খামারিরা। গো খাদ্যের দাম ব্যপকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় খাবার নিয়েও দুচিন্তায় পড়েছেন তারা। খাদ্য কিনে গরু পালন করা দুরুহ হয়ে পড়েছে। তবে খামারিরা লোকসান গুনলেও মাংস বিক্রেতাদের পোয়াবারো।

দামুড়হুদা উপজেলায় ছোট বড় প্রায় ৮শ’টির মতো ছোটবড় খামার রয়েছে। এছাড়াও প্রতি গ্রামের চাষিসহ প্রায় মধ্যবিত্ত ও দিন মজুর রা গরু পালন করে থাকে।  

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমন শুরুর পরে লক ডাউনের কারনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ক্রেতা আসা বন্ধ হওয়ায় স্থানীয় হাট গুলোত গরু বেচা কেনা কমতে থাকে। ক্রেতা কম থাকায় বাজারে ও ধস নামে। গরুর বাজর দর কমে যাওয়ায় বড় খামারি ও মধ্যেবিত্ত গরু পালন কারিরা কোরবানির ঈদে বাজার ভালো হবে এমন আশায় তারা গরু বিক্রি না করে রেখে দেই। কিন্তু কোরবানি ঈদে ও বাজার দর ভালো না পাওয়ায় কম দামে গরু অনুপাতে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা লোকশান দিয়ে তাদের গরু বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে। ঈদেরপর বাজার বাড়তে পারে এমন আশায় অনেকে গরু বিক্রি না করে লাভের আশায় রাখে। কিন্তু বর্তমানে ও বাজার দর একই অবস্থা। এরই মধ্যে হঠাৎ গো খাদ্য ধানের বিচালিসহ চাউলের খুদ, গমের ভূষির বাজার বৃদ্ধি পাওয়ায় আরো বেকায়দায় পড়েছেন খামারি গন। খুদ, ভুষির দাম সামান্য বৃদ্ধি পেলেও  বিচালির দাম গত সপ্তাহ খানেকের মধ্যে দ্বিগুন হয়ে পড়েছে।তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা কাউন বিচালির দাম এখন ৮হাজার থেকে সাড়ে ৮হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে। গো খাদ্যর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন। বর্তমান অবস্থায় লাভের আশা তো দূরে থাক বাজারে গরু তুলে তা বিক্রি করে আসল তুলতে পারবেন-না লোকশান গুনতে হচ্ছে খামারি দের। 

তবে মাংস বিক্রেতাদের (কসাই) পোয়া বারো। তারা ৪শ’টাকা কেজি হিসাবে গরু কিনে তার মাংস বিক্রি করছে ৫শ’ থেকে সাড়ে ৫শ’ টাকা দরে এতে করে খামারিরা লোকসান গুনলেও মাংস বিক্রেতারা ভালো লাভোবান হচ্ছে। 

দামুড়হুদার গোপালপুর গ্রামের গরুর খামারি সাজাহান আলি বলেন, তার খামারে ৩০টি গরু ছিল কোরবানি তে মাত্র ২টা বিক্রি হয়েছে, তাতে প্রায় ৫০ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে। এরপর ঈদেরপর দাম বাড়বে এমন আশায় গরু রেখেছিলাম কিন্তু গত কয়েক দিনে গো খাদ্য বিচালির দম ব্যপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় কয়েক দিনের মধ্যে ১৬টি গরু বিক্রি করেছি এতে তার প্রতি গরু তে ১০ হাজার থেকে ২৫হাজার টাকা পর্যন্ত লোকশান হয়েছে। 

দামুড়হুদা মাদ্রাসা পাড়ার খামারি মাহমুন হাসান মাসুদ জানান, তার খামাওে ৯টি গরু আছে রোজার ঈদে তার দুটি বলদ গরুর দাম হয়েছিল ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। কোরবানি ঈদে বিক্রি করলে আরো বেশি দাম পাওয়া যাবে এমন আশায় বক্রি না করে রেখে দেয়। কোবানিতে দুটি গরুর দাম উঠে ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা। সে কারনে সে গরু বিক্রি করতে পারেরি। বর্তমান বাজারে ও একই অবস্থা হওয়ায় সে গরু বিক্রি করতে পারেরি।

দামুড়হুদা উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসার ডাঃ মশিউর রহমান বলেন, করোনা সংক্রমনে লকডাউনের কারনে প্রায় তিন চারমাস হাট বন্ধ থাকায় অনেকে গরু বিক্রি করতে পারেনি। হাট চালু হলে আমদানি বেশি হওয়ায় গরুর দাম কমে গেছে। এছাড়াও গো খাদ্যর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক খামারি গরু বিক্রি  করে দিচ্ছে। নতুন বিচালি উঠতে শুরু করেছে দামা কমে যাবে। ধিরে ধিরে বাজার আগের মত আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।