Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

মুকসুদপুরে বন্যায় কৃষিতে ক্ষতি প্রায় সোয়া ১২ কোটি টাকা কৃষি সংবাদগোপালগঞ্জ

মুকসুদপুরে বন্যায় কৃষিতে ক্ষতি প্রায় সোয়া ১২ কোটি টাকা

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে ৪ হাজার কৃষকের ফসল বন্যায়  পানির নিচে। এতে করে কৃষিতে ক্ষতি  প্রায় ১২ কোটি ২৪ লাখ টাকা । পানি অস্বাভাবিক মাত্রায় বৃদ্ধির ফলে উপজেলার অন্যান্য গ্রামের চারদিকে পানি থৈ থৈ। নিচু এলাকার বাড়ী ঘরে ক্ষেত-খামারে ফসল পানির নিচে।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় বোনা আমন ৬ হাজার ৮৯৪ হেক্টর, আউশ ২৬০ হেক্টর, রিলে আমন ৪ হাজার ৫১৪ হেক্টর, রোপা আমন ১২শ মোট ১২হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ করার লক্ষমাত্রা। উত্তর অঞ্চলের বন্যার পানি এসে কৃষকের ফসলি জমি পানিতে থৈ থৈ। ৫৩২ হেক্টোর ফসল ক্ষতিগ্রস্ত। একেতো মহামারি করোনা তারপর হঠাৎ বন্যার কবলে ফসল হারিয়ে প্রায় ৪০০০ কৃষক এখন আমানিশার ঘোর অন্ধকারে দিনাতিপাত করেছেন। এখানকার কৃষক পরিবারের দুর্ভোগ এখন চরমে।

এছাড়া সবজি উৎপাদনে উপজেলার গুরুত্ব যুগযুগ ধরে চলে আসছে। এখানে উৎপাদিত বিভিন্ন প্রকার সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে থাকে। 

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এ উপজেলাতে ৪১১ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রকার সবজি মাচায় চাষ করা হয়েছিল যার মধ্যে ৩১৪ হেক্টরই তলিয়ে গেছে। পেপে ক্ষেত পুরোটাই বন্যা কবলিত হয়ে মারা গেছে। 

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরে কর্মকর্তা মোহাম্মাদ মনিরুজ্জামান বলেন, বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে উচুস্থান গুলোতে ধান ও সবজি চারা উৎপাদনের কাযক্রম হাতে নেয়া হয়েছে, যাতে জমি থেকে পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথেই চাষিরা আবার নতুন করে ফসলের আবাদ শুরু করতে পারে। মুকসুদপুর উপজেলা কৃষি উদ্ভিদ সংরক্ষন অফিসার রুহুল কুদ্দুস আহমেদ বলেন, বন্যায় কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, এই ক্ষতিপূরণ করতে অনেক সময় প্রয়োজন । 

উপজেলার বাটিকামারী গ্রামের কৃষক ইকরাম শেখ বলেন, তার আবাদকৃত ৫বিঘা জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে, সেইসাথে সবজি ক্ষেতও তলিয়ে গেছে। তিনি আরও জানান, আমাদের এই অঞ্চলে প্রায় ১৫ বছর  যাবত  এমন বন্যা হয় না।