কক্সবাজার পুলিশ সুপার, ওসি প্রদীপ, ইলিয়াস কোবরাসহ আটজনের ব্যাংক হিসাব স্থগিত আইন ও আদালত / 
মেজর (অব) সিনহা রাশেদ নিহতের ঘটনায় কক্সবাজারের পুলিশ সুপার বিএম মাসুদ, টেকনাফের বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী, অভিনেতা ইলিয়াস কোবরাসহ মোট আটজনের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট।
এছাড়া চুমকী কারান, প্রতীম কুমার দাশ, প্রতুশ কুমার দাশ, দিলীপেরও ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে।
সোমবার বিএফআইইউ থেকে দেশে কার্যরত সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে একটি চিঠি পাঠিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে সোমবারও কক্সবাজার কারাগারে থাকা হত্যা মামলার প্রধান তিন আসামি বরখাস্ত হওয়া ইন্সপেক্টর লিয়াকত, ওসি প্রদীপ, ও এসআই নন্দদুলালকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সরকার গঠিত তদন্ত কমিটি। পর্যায়ক্রমে রিমান্ডে থাকা সাত আসামিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবেন তারা।
এর আগে রোববার সকালে টেকনাফের শামলাপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন র্যাব মহাপরিচালক।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি মামলা করে। আর রামু থানায় একটি মামলা করে।
পরে ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে ৯ জনকে আসামি করা হয়।
আসামিরা হলেন- টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহার হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলী, উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, পুলিশ কনস্টেবল সাফানুর রহমান, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. মোস্তফা ও এসআই টুটুল। এদের মধ্যে আসামি মোস্তফা ও টুটুল পলাতক।