Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

রাজবাড়ীতে মরদেহ উদ্ধারে গিয়ে হামলায় চার পুলিশ সদস্য আহত রাজবাড়ী

রাজবাড়ীতে মরদেহ উদ্ধারে গিয়ে হামলায় চার পুলিশ সদস্য আহত

রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মাঝবাড়ীতে রবিউল বিশ্বাস (৩০) নামে এক বিস্কুট ব্যাবসায়ীকে পানিতে চুবিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহত রবিউল বিশ্বাস মাঝবাড়ি ইউনিয়নের বেদবাড়িয়া গ্রামের আছির উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে। 

শনিবার ভোরে স্থানীয় মোনাই বিল থেকে তার মরদেহ উদ্ধারে গেলে পুলিশ সদস্যদের দুই ঘন্টা অবরুদ্ধ করে দফায় দফায় হামলা চালায় স্থানীয়রা। এ সময় নিরব ভুমিকা পালন করে মারপিটে আহত হন চারজন পুলিশ সদস্য। 

নিহত রবিউল বিশ্বাসের বড় ভাই শাজাহান বিশ্বাস বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ একই এলাকার ইসলাম খানের সাথে আমাদের মামলা চলে আসছিলো। তারই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার দুইপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। মারামারির ঘটনায় একটি কালুখালী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ওই মামলায় আমার ছোট ভাই বাবুল ও রবিউলকে আসামী করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে পুলিশ এসে বাবুলকে ধরে নিয়ে যায়। 

নিহত রবিউলের অপর ভাই ও হত্যাকান্ডের প্রত্যক্ষদর্শী আক্তার বিশ্বাস বলেন, শুক্রবার রাতে ওই এলাকায় পুলিশী অভিযান পরিচালিত হয়। পুলিশ চলে যাওয়ার পর আমাদের প্রতিপক্ষ আমাকে ও আমার ছোট ভাই রবিউলকে ধাওয়া করলে আমি সাতরিয়ে নিরাপদে আত্মরক্ষা করলেও রবিউল ওই সন্ত্রাসীদের কাছে ধরা পড়ে। এ সময় প্রতিপক্ষে লোক ইলিয়াস, রাকিব ও রফিক আমার ভাইকে পানিতে চোবাতে থাকে। ভয়ে আমি পালিয়ে আসি। এরপর শনিবার সকালে মোনাই বিলে তার লাশ পাই। তিনি এ সময় এ ঘটনা সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার দাবী করেন।

সরেজমিনে শনিবার সকালে কালুখালী উপজেলার মাঝবাড়ি ইউনিয়নের বেদবাড়িয়া গ্রামে গিয়ে দেখাযায়, সেখানে নিহত রবিউলের পরিবারসহ স্থানীয় অন্তত তিনশত গ্রামবাসি পুলিশ সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে। সেই সাথে বাশের লাঠি ও ইট পাটকেল এবং হেলমেট দিয়ে দফায় দফায় হামলা চালাচ্ছে। দুই ঘন্টা পরে রাজবাড়ী থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কামরুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধারে গিয়ে আমাদের চারজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছে। তারা বর্তমানে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় সর্ব্বোচ্চ ধৈর্ষ্যর পরিক্ষা দিয়েছে। তারপরও কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হয় আমরা সে ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করবো। আর হত্যাকান্ডের ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুুতি চলছে। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।