Opu Hasnat

আজ ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ২০২৪,

চরভদ্রাসনে বিয়ের প্রলোভনে কলেজ ছাত্রী ধর্ষনের অভিযোগ! ফরিদপুর

চরভদ্রাসনে বিয়ের প্রলোভনে কলেজ ছাত্রী ধর্ষনের অভিযোগ!

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা চরহরিরামপুর ইউনিয়নের আরজ খার ডাঙ্গী গ্রামে বসবাসরত একাদশ শ্রেনীর এক কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রতিবেশী অনার্স  পড়–য়া যুবক মেহেদী হাসান (২২) ধর্ষন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে উক্ত কলেজ ছাত্রী বাদী হয়ে ফরিদপুর বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আলাদতে গত ২৯ জুলাই একটি মামলা দায়ের করার পর গত সোমবার (১০ আগষ্ট) ডাক্তারী পরীক্ষার ফলাফলে ধর্ষনের প্রামন মিলেছে। আগামী ১৩ আগষ্ট মামলার হুকুম জারীর দিন ধার্য করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ধর্ষনের ঘটনা জানজানি হওয়ার পর থেকে মেহেদী হাসান গাঁ ঢাকা দিয়েছে। 

উক্ত কলেজ ছাত্রী উপজেলা পদ্মা নদীর অপর পারে হাজার বিঘা নামক গ্রামে তার পৈত্রিক বসতি। ছাত্রীর পিতা দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে চাকুরী করার কারনে ছোট্টকাল থেকে সে আরজখার ডাঙ্গী গ্রামের নানা বাড়ীতে থেকে পড়াশুনা করে আসছিল। এ বছর এসএসসি পাশ করার পর নানা বাড়ীর প্রতিবেশী হয়দার ঠাকুরের ছেলে মেহেদী হাসান উক্ত ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় প্রেম ভালোবাসার কথা বলে বিয়ের প্রলোভন সহ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। 

গত ২৯ জুন নানা বাড়ীর সবাই অন্যত্র বেড়াতে গেলে বাড়ীতে কলেজ ছাত্রী একা ছিল। ওই রাত ১১ টার দিকে কলেজ ছাত্রী তার মামী নাজমা বেগমের থাকার ঘরে ঘুমোতে গিয়ে দেখে যে প্রতিবেশী যুবক মেহেদী হাসান আগে থেকেই ঘরে ঢুকে লুকিয়ে আছে। এ সময় উক্ত ছাত্রী তাকে চলে যেতে বললে মেহেদী হাসান তখনও কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পরে কলেজ ছাত্রীর কান্না কাটিতে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে ধর্ষক দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে ধর্ষকের পিতা হায়দার ঠাকুর ও তার পরিবার কলেজ ছাত্রীকে পুত্রবধু করে ঘরে তুলে নেওয়ার প্রলোভন দিয়ে কাল বিলম্ব কারার পরে সম্প্রতি তারা আবার অস্বীকার করে চলেছে। ফলে ঘটনার পর এলাকার মাতুব্বর গোষ্ঠীর চাপের মুখে কলেজ ছাত্রী তাৎক্ষণিক আইনের আশ্রয় নিতে পারেনি বলেও জানা যায়।

মঙ্গলবার দুপুরে এ ব্যাপারে ধর্ষক মেহেদী হাসানকে মুঠোফোনে জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, ‘উক্ত ছাত্রীর সাথে আমি বিভিন্ন সময়ে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্কীয় আলাপ করেছি সত্য, কিন্ত আমি তার সাথে কোনো খারাপ কাজ করি নাই’। 

আর উক্ত কলেজ ছাত্রী জানান, ‘আমাকে জোর পূর্বক ধর্ষন করার পর মেহেদী হাসান তার মোবাইল থেকে ক’য়েক দিন পর্যন্ত আমার মোবাইলে যেসব কুরুচীপূর্ন ম্যাসেজ (বার্তা) পাঠিয়েছে, সেইসব বার্তার ৫২ পৃষ্ঠা কাগজী প্রমান পর্যন্ত আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে। তার পরও বর্তমানে ধর্ষক পরিবার এ ঘটনা অস্বিকার করে চলেছে বলে ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান’।