Opu Hasnat

আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৪,

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ১৬ আগস্ট থেকে ডিএসসিসিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত জাতীয়

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ১৬ আগস্ট থেকে ডিএসসিসিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জানয়েছেন, ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণে ১৬ আগস্ট থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে।

রোববার (৯ আগস্ট) বিকেলে নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বছরব্যাপী সমন্বিত মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের পর্যালোচনা সভায় তিনি সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশনা দেন।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘বছরব্যাপী মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সকলের সহযোগিতায় আমরা সফলতা পাচ্ছি, ঢাকাবাসী সুফল পাচ্ছে। ফলে ঢাকা দক্ষিণে মশার প্রকোপ নেই বললেই চলে। তারপরও ঢাকা দক্ষিণ এলাকায় বিশেষ করে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও নির্মাণাধীন ভবনে এখনো ডেঙ্গু মশার প্রজনন স্থল রয়ে গেছে। যেহেতু এই সময়টাতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি হয়, তাই আমাদের কর্মপরিকল্পনার শেষ পন্থা আমরা এখন অবলম্বন করতে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ১৬ আগস্ট থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালু করা হবে। এর মাধ্যমে যে সকল সংস্থা ও নির্মাণাধীন ভবনে এখনো ডেঙ্গু মশার প্রজননের উৎসস্থল রয়ে গেছে, সেগুলোতে মশা নিধনের সাথে সাথে তাদেরকে সচেতন করা হবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাও নেয়া হবে। যাতে করে তারা এ ব্যাপারে আরও সচেতন হয় এবং নিজেরা স্বপ্রণোদিত হয়ে ডেঙ্গু মশা নির্মূলে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

শেখ তাপস বলেন, ‘আমাদের এত ব্যাপক কার্যক্রমের পরেও যদি বিভিন্ন ছোট-খাটো জায়গায় ডেঙ্গু প্রজননের উৎসস্থল রয়ে যায়, তাহলে ঢাকাবাসী আমাদের কার্যক্রমের সেই সুফলটা পাবেনা।’

তিনি বলেন, এজন্যই ভ্রাম্যমাণ আদালত চালু করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে এলাকাভিত্তিক যেসব জায়গায় বেশি প্রকোপ দেখা যাবে সেসব জায়গায় ব্যবস্থা নেয়া হবে। শুরুতে দু’টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। আমরা আশা করবো যে, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও নির্মাণাধীন ভবনের মালিকরা নিজেরা সচেতন হয়ে, স্বপ্রণোদিতভাবে তাদের নিজেদের এলাকাগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ মশক নিধনে কার্যকর ব্যবস্থা নেন। যাতে করে তাদেরকে আর জরিমানা দিতে না হয়। তাহলেই সম্পূর্ণরূপে মশাবাহিত রোগ-ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া নির্মূল করা যাবে।

এসময় তিনি জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে দক্ষিণ সিটিতে যে ১ লাখ বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে, তা বণ্টনের রূপরেখা দিয়ে তা আগামী দুই মাসের মধ্যে সে কাজ সম্পন্ন করা হবে।

পুরাতন ৫৭টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ১ হাজার করে ৫৭ হাজার, নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ২ হাজার করে ৩৬ হাজার ও সিটি কর্পোরেশনকে কেন্দ্রীয়ভাবে ৭ হাজার বৃক্ষরোপণ করার জন্য সভায় নির্দেশনা দেয়া হয়।