Opu Hasnat

আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৪,

কাশিমপুর কারাগার থেকে কয়েদি নিখোঁজ, তদন্ত কমিটির কারাগার পরিদর্শন গাজীপুর

কাশিমপুর কারাগার থেকে কয়েদি নিখোঁজ, তদন্ত কমিটির কারাগার পরিদর্শন

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আবু বক্কর সিদ্দিক নামে এক কয়েদি নিখোঁজের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। শনিবার সকাল ১০টার কিছুক্ষন পর তদন্ত কমিটির সদস্যরা কারাগারে এসে পৌঁছান। তারা তদন্ত শুরু করেন। দিনভর কারাগারের ভিতরের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে কমিটির সদস্যরা।

পরিদর্শন শেষে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত আইজি (প্রিজন) কর্ণেল আবরার হোসেন কাশিমপুর কেন্দ্রিয় কারা কমপ্লেক্সের মূলগেটে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। এসময় তদন্ত কমিটির প্রধান আবরার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ‘প্রাথমিকভাবে তদন্তের কাজ শুরু করা হয়েছে। কাজের অনেকটা অগ্রগতি হয়েছে।তবে, তদন্তের স্বার্থে এ সম্পর্কে এখনই কিছুই বলা যাচ্ছে না।’ অল্প সময়ের মধ্যে তদন্তের ফলাফল সম্পর্কে জানানো হবে। 

এসময় তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্য ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি (প্রিজন) এটিএম তৌহিদুল ইসলাম, মানিকগঞ্জের সিনিয়র জেলার বিকাশ রায়হান তার সাথে ছিলেন। 
 
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাশিমপুর কারাগার-২ থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি আবু বকর সিদ্দিক (৩৫) নিখোঁজ হয়। শুক্রবার বিকেলে প্রাথমিকভাবে ছয় জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৬ জনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে প্রধান কারারক্ষী, সহকারী কাররক্ষী ও কারারক্ষীরা রয়েছে। ঘটনার প্রেক্ষিতে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়। আজ সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পযর্ন্ত একটানা তদন্ত কাজ করে কমিটি। 

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সিনিয়র জেল সুপার জাহানারা বেগম বলেন, বৃহষ্পতিবার বিকালে লকআপের সময় কয়েদি আবু বক্কর সিদ্দিককে কারাগারে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে কারাগারে অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে আর পাওয়াই যায়নি।
এরপর ধারণা করা হয় কয়েদি আবু বক্কর সিদ্দিক কারাগার থেকে পালিয়ে গেছেন। পরে তার বিরুদ্ধে শুক্রবার (০৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলার মোহাম্মদ বাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে জিএমপির কোনাবাড়ী থানায় একটি মামলা করেন।

জাহানারা বেগম বলেন, এ ঘটনায় কারাগারে দায়িত্ব পালনের অবহেলায় ১২ জন কারারক্ষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে সাত কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত এবং পাঁচ কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে তারা হলেন-সর্ব প্রধান কারারক্ষী আবুল কালাম আজাদ, সহকারী প্রধান কারারক্ষী আ. রউফ খান, কারারক্ষী ইউসুফ খান, রাকিবুল হাসান, শওকত আলী। যারা বরখাস্ত হয়েছেন-সহকারী প্রধান কারারক্ষী আহাম্মদ আলী, কারারক্ষী হক মিয়া, মনিরুল ইসলাম, আলী নূর, সজিব হোসাইন, আনোয়ার হোসেন।

এর আগে ২০১৫ সালে কয়েদি আবু বকর সিদ্দিক কারাগারের ভেতর সেপটিক ট্যাংকে টানা প্রায় ২৪ ঘন্টা লুকিয়ে ছিলেন। কিন্তু তখন তাকে খুঁজে পাওয়া গেলেও এবার পালিয়েই গেলেন! ২০১২ সাল থেকে তিনি কারাগারে বন্দি ছিলেন। তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার চন্ডিপুর এলাকার তেথের আলী গাইনের ছেলে।