Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

কাশিমপুর কারাগার থেকে কয়েদির পলায়ন, ১২ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গাজীপুর

কাশিমপুর কারাগার থেকে কয়েদির পলায়ন, ১২ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক কয়েদি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ঐ কারাগার সংশ্লিষ্ট ৬জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। এছাড়া আরও ছয়জনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। এই ১২ জনের মধ্যে জেল সুপার, জেলার, ডেপুটি জেলারও কারারক্ষীও রয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (০৬ আগস্ট) কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে পালিয়ে যান কয়েদি আবু বক্কর সিদ্দিক (৩৫)। এব্যাপারে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলার মোহাম্মদ বাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় একটি সাধারন ডাইরী করেন। 

শুক্রবার (০৭ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম মোস্তফা কামাল পাশা। পালিয়ে যাওয়া ঐ কয়েদির নাম আবু বক্কর সিদ্দিক (৩৫)।

আইজি প্রিজন জানান, এ ঘটনায় কোনাবাড়ি থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হযেছে। ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। পুলিশ ওই কয়েদির বাড়িতে খোঁজ-খবর নিচ্ছে। কয়েদি পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে গাজীপুরে চিরুনি অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

কাশিমপুর কারাগার সূত্রে জানা গেছে, কয়েদি আবু বকর সিদ্দিক সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আবাদ চণ্ডীপুরের তেছের আলী গাইনের ছেলে। সে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আসামিদের গণনার সময় থেকে কয়েদি আবু বক্কর সিদ্দিককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ২০১২ সাল থেকে আবু বকর সিদ্দিক এ কারাগারে বন্দী ছিলেন।

এর আগে ২০১৫ সালের ১৩ মে সন্ধ্যায়ও কয়েদি আবু বকর সিদ্দিক আত্মগোপন করে সেল এলাকায় সেফটি ট্যাংকির ভেতরে লুকিয়ে ছিল। অনেক খোঁজাখুজি শেষে পরদিন তাকে একটি ট্যাংকির ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। “এরপর কিছুদিন তাকে কারাগারে শেকল পরিয়ে রাখা হত, পরে শেকলমুক্ত করে দেওয়া হয়। কারা চত্বরে অন্য বন্দিদের সঙ্গেই তিনি কাজ-কর্ম করতেন।”

বৃহস্পতিবারও অন্যদের সঙ্গে মুক্ত ছিলেন আবুবকর । সন্ধ্যায় বন্দিদের গনণার সময় তার উধাও হওয়ার বিষয়টি বোঝা যায়।

“পরে কারাগারের ৬টি ভবনের ২৪টি কক্ষে তার খোঁজ না পেয়ে সকল বন্দিদের রোলকল হয়। আবু বকরের নিখোঁজ থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হন কারা কর্তৃপক্ষ।