Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

খাগড়াছড়িতে নতুন ৫ জনসহ মোট ৫৩২জন করোনায় আক্রান্ত খাগড়াছড়ি

খাগড়াছড়িতে নতুন ৫ জনসহ মোট ৫৩২জন করোনায় আক্রান্ত

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো নতুন ৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৩২জনে। তবে এর মধ্যে ৩৮০জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ১৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে। তারমধ্যে ফলাফল রিপোর্ট এসেছে ৩ হাজার ২৩১ জনের। রোববার (২ আগষ্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা: নুপুর কান্তি দাশ।

খাগড়াছড়ি স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে জেলায় এক মুক্তিযোদ্ধাসহ দু‘জন মৃত্যুবরণ করেছেন। তবে চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে খাগড়াছড়ি জেলার এক মুক্তিযোদ্ধা ও দুই চিকিৎসকসহ আরো চারজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এছাড়াও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন বেশ কয়েক জন। পূর্বের মোট আক্রান্ত সংখ্যা ছিলো ৫২০জন। নতুন ৫ জনসহ এ নিয়ে জেলায় বেড়ে তা মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৫৩২ জনে। তার মধ্যে ৩৮০জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। প্রতিদিন বেড়ে এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৩২জনে। 

তিনি আরো জানান, আক্রান্তদের মধ্যে বেশির ভাগই পুলিশ ও ডাক্তারসহ স্বাস্থ্যকর্মী। তার মধ্যে পুলিশ সদস্য ১১৮জন, ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী ২৫জন। 

খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন ডাক্তার নুপুর কান্তি দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ পর্যন্ত ৩ হাজার ১৫০জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট এসেছে ৩হাজার ১৩১জনের। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৩২জনে। তবে এর মধ্যে ৩৮০জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। খাগড়াছড়ি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় ৯টি উপজেলার এ পর্যন্ত  করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক মুক্তিযোদ্ধাসহ দুইজন মৃত্যুবরণ করেছেন। তবে চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে খাগড়াছড়ি জেলার এক মুক্তিযোদ্ধা ও দুই চিকিৎসকসহ আরও চারজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এছাড়াও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন বেশ কয়েক জন। সরকারি নির্দেশনা মেনে চলুন, নিরাপদে থাকুন। 

জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ভর্তি রয়েছে ১৯জন। জেলায় সর্বমোট ৫২০জন আক্রান্তদের মাঝে পুলিশ সদস্য-১১৮জন, ডাক্তার-৮ ও স্বাস্থ্যকর্মী-১৮জন। তবে এর মধ্যে ৩৬৫জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তার মধ্যে খাগড়াছড়ি সদরে-২৫জন, দীঘিনালায় এক আনসার সদস্যের মৃত্যুসহ-৭জন, পানছড়িতে চার বছরের এক শিশুসহ-৬জন, রামগড়ে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুসহ-৪জন, মানিকছড়ি-২৪, লক্ষ্মছড়ি-২, ও মাটিরাঙ্গায়-৫১জন।

খাগড়াছড়ি ও রামগড় পৌরসভা এবং মানিকছড়ি উপজেলাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করার এক মাস পরও তা কার্যকর হয়নি। ফলে জনমনে বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা। কিন্তু এ নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই খাগড়াছড়ি স্বাস্থ্য বিভাগে কিংবা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। সে সাথে জনমনে বাড়ছে বাড়তি উদ্বেগ-উৎকন্ঠা। তারা যেন কোন অদৃশ্য শক্তির বেড়া জালে আটকা। সাধারণ মানুষের উদ্বেগ-উৎকন্ঠার কোন মূল্য নেই তাদের কাছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে করোনা শনাক্তের ৫২তম দিনে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল। এরপর থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় শনাক্ত হতে থাকে করোনা পজেটিভ। সাধারণ ছুটি, ঈদুল ফিতর ও বৈসাবি’র পরপর উদ্বেগজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে করোনা আক্রান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা। সবশেষ রোববার (২ আগষ্ট) পর্যন্ত খাগড়াছড়ি জেলায় ৫৩২জন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে ১১৮জনই পুলিশ সদস্য। আক্রান্ত হওয়ার তালিকা থেকে বাদ পড়েনি চিকিৎসক, নার্সরাও আনসার বাহিনী।

এদিকে খাগড়াছড়ি রাঙামাটি বান্দরবান তিন পার্বত্য জেলার ক্ষুদ্র জাতিসত্তা/আদিবাসী/পাহাড়ি জনগোষ্ঠি’র মধ্যে মহামারি করোনাভাইরাস দেশে সংক্রমণ কম দেখা যাচ্ছে। কিছু এলাকায় প্রান্তিক এসব জনগোষ্ঠীর মধ্যে কোনো সংক্রমণই দেখা যায়নি। যেখানে সংক্রমণ দেখা গেছে, সেখানে মৃত্যুর সংখ্যাও খুব কম। ক্ষুদ্র জাতিসত্তা/আদিবাসী/পাহাড়ি জনগোষ্ঠি’র প্রত্যকদিনের খাবারে সাথে জুমের চিকন মরিচের নাপ্পি/সিডল/শুকনা মাছের ভর্তা সাথে ঔষধি গুনাগুন শাক সিদ্ধ প্রায়ই খেতে হয়। আর শব্জির বেলায়ও নাপ্পি/সিডল/শুকনা মাছের সাথে প্রায় ৩৭টি বাহাড়ি রকমে মিশ্রিত ঔষধি পাচন অধিকাংশ সময় খাওয়া হয়। যার ঔষধি গুনাগুন বেশী থাকার ফলে রোগ প্রতিরোধও ক্ষমতা থাকে অধিকাংশ পাহাড়ের পাহাড়িরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো কোনো জনগোষ্ঠী কিভাবে নিজেদের রক্ষা করল, তা নিয়ে গবেষণা হওয়া জরুরি প্রয়োজন। তাদের চলা-ফেরা, থাকা-খাওয়া পরিবেশগত ভিন্নতার জন্য রোগ বালই ধারেই কাছে ছুটে পারে না। 

ক্ষুদ্র জাতিসত্তা/আদিবাসী/পাহাড়ি জনগোষ্ঠি’র গুলোর একটি বড় অংশ বাস করে তিন পার্বত্য জেলায় বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে। চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, লুসাই, বম, তঞ্চঙ্গ্যা, রাখাইন, মগ, পাংখোসহ ১০টির বেশি ক্ষুদ্র জাতিসত্তা এ জেলাগুলোতে বসবাস করে। তিনটি জেলার সদর উপজেলাগুলোতে অর্থাৎ জেলা শহরে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বাঙালি জনসংখ্যার অনুপাত প্রায় সমান। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা বাঙালি জনগোষ্ঠীর মধ্যে বেশি বলে স্ব-স্ব জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে। বান্দরবান সদরে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩৮জন। তাদের মধ্যে ২৪০জন বাঙালি ও ৯৮জন পাহাড়ি।

বান্দরবান জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের করোনাবিষয়ক দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা চিকিৎসক তাওহিদা আক্তার বলেন, ‘খাদ্যাভ্যাস ও কঠিন জীবনযাপনে অভ্যস্ত হওয়ার কারণে হয়তো ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বেশি। এ ছাড়া তারা এমন সমাজব্যবস্থায় অভ্যস্ত, যেখানে স্বাভাবিকভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি মেনে চলা হয়। এগুলোই সংক্রমণ কম হওয়ার সম্ভাব্য কারণ।’

রাঙামাটি সদরে আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে ৩৪০জন। সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয় জানিয়েছে, এদের ৩০থেকে ২০শতাংশ ক্ষুদ্র জাতিসত্তা। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাঙামাটিতে ৮জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুজন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার।

খাগড়াছড়ির ৯টি উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে ৫২০জন। সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয় জানিয়েছে, এদের ৩০থেকে ২০শতাংশ ক্ষুদ্র জাতিসত্তা। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে দীঘিনালার এ আনসার সদস্য ও রামগড়ে এক মুক্তিযোদ্ধাসহ ২জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার নেই। তবে এর মধ্যে ৩৬৫জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। শুক্রবার (৩১ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা: নুপুর কান্তি দাশ। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ১০৮জনের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে। তারমধ্যে ফলাফল রিপোর্ট এসেছে ৩হাজার ৯৪জনের।

খাগড়াছড়ি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় ৯টি উপজেলার এ পর্যন্ত  করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক মুক্তিযোদ্ধাসহ দুইজন মৃত্যুবরণ করেছেন। তবে চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে খাগড়াছড়ি জেলার এক মুক্তিযোদ্ধা ও দুই চিকিৎসকসহ আরও চারজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এছাড়াও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন বেশ কয়েক জন।

ক্ষুদ্র জাতিসত্তা/আদিবাসী/পাহাড়ি জনগোষ্ঠি গুলোর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি, এমন ২৮টি থানা/উপজেলায় করোনা সংক্রমণের তথ্য সংগ্রহ করেছেন। তাতে দেখা গেছে, তিনটি জেলার ছয়টি উপজেলায় ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি। উপজেলাগুলো হচ্ছে ৩ জেলার ছয়টি উপজেলায় ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর মধ্যে আক্রান্তের হার মূলধারার জনগোষ্ঠী কিংবা বাঙালিদের তুলনায় অনেক কম। এসব উপজেলা হচ্ছে খাগড়াছড়ি ৯টি থানা মধ্যে(সদর খাগড়াছড়ি), রাঙামাটি ১২টি থানার মধ্যে-(রাঙামাটি সদর) এবং বান্দরবান ৭টি উপজেলার মধ্যে (বান্দরবান সদর)।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুশতাক হোসেন বলেন, ‘আমাদের দেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলো হয়তো নিজেদের মতো করে একটা নিরাপত্তাবলয় তৈরি করে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পেরেছে। কিন্তু এতে আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই। কারণ, ব্রাজিলের আমাজন এলাকার আদিবাসীদের মধ্যে একসময় সংক্রমণ কম থাকলেও এখন তা ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।’

সরকারি হিসেবে দেশে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা/আদিবাসী/পাহাড়ি জনগোষ্ঠি’র আছে ৫০টি, যা দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২শতাংশ। এরা সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তারপরও পার্বত্য চট্টগ্রাম, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে এদের বসতি বেশি।

তিন দশকের বেশি এসব জনগোষ্ঠী নিয়ে কাজ করছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক ফিলিপ গাইন। তিনি বলেন, এদের আচার– আচরণ, অভ্যাস মূলধারার জনগোষ্ঠীর চেয়ে আলাদা। এরা ঘরমুখী, নিরিবিলি থাকতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। বাজার ঘাটে কম আসে। এসব কারণেই হয়তো এদের মধ্যে সংক্রমণ কম দেখা গেছে। 

মানবাধিকার নারী নেত্রী নমিতা চাকমা জানান, তিন পার্বত্য জেলার পাহাড়িরা বেশীর ভাগ নিত্য-নৈমিত্তিক ঔষধি গুনাগুন শাক-শব্জি খাওয়ার ফলে রোগ-বালাই ধারের কাছে ছুটে পারে না। দুর্গম পাহাড়ি উচু-নিচু, ছড়া-নদী, আকা-বাকা পথ পেরিয়ে নিজ বাসায় অথবা নির্দ্দিষ্ট প্রয়োজনীয় গন্তব্য স্থলে প্রত্যকদিন পৌছতে হয়। ঐ এলাকার প্রকৃতির বসবারকারী পাহাড়ি জনগোষ্টিরা অভ্যাসের পরিনত হয়েছে। পারিশ্রমিক শরিল যেমন শক্ত, মজবুত ঠিক তেমনি শারিরিক সুবল থাকার ফলে জড়, শর্দি, কাশি খুব কম দেখা যায়।

কেউ আক্রান্ত হননি উত্তরের জেলা জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় মুন্ডারা বাস করে। মুন্ডাদের ছোট একটি সংগঠনের নাম পামডো। এর নির্বাহী প্রধান হৈমন্তী সরকার বলেন, মুন্ডারা ‘বাইরের লোকজনের’ সঙ্গে খুব একটা মেলামেশা করে না বলে তাদের মধ্যে সংক্রমণ দেখা দেয়নি। সরকারি কর্মকর্তাদের হিসেবে পাঁচবিবি উপজেলার জনসংখ্যা ২লাখ ৪০হাজার ৭৯৭জন। এর মধ্যে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ১১শতাংশ। উপজেলায় এ পর্যন্ত ১০৪জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর কেউ নেই। দেশের যেসব জায়গায় করোনা সংক্রমণ বেশি হয়েছে, গাজীপুর তার অন্যতম। গাজীপুরের কয়েক কিলোমিটার উত্তরে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলা। এই উপজেলায় এখন পর্যন্ত ২৭৫জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এখানে ১৩হাজারের বেশি কোচ ও মান্দি বাস করলেও তাঁরা কেউ আক্রান্ত হননি বলে উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাবলিক হেলথ অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য আবু জামিল ফয়সাল বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা ধরনের গবেষণা হচ্ছে। বিভিন্ন দেশে, ভিন্ন ভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংক্রমণের নানা ধরন দেখা যাচ্ছে। এ মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলো কী উদ্যোগ নিয়েছে, দেশের বৃহত্তর স্বার্থেই তা জানা দরকার।