Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

সাহেদ একজন চতুর, ধুরন্ধর এবং অর্থলিপ্সু : র‌্যাব ডিজি আইন ও আদালত

সাহেদ একজন চতুর, ধুরন্ধর এবং অর্থলিপ্সু : র‌্যাব ডিজি

সাহেদ নিজেকে নিরাপরাধ দাবি করলেও মূলত তিনি একজন চতুর, ধুরন্ধর এবং অর্থলিপ্সু। বুধবার (১৫ জুলাই) বিকেল ৩টায় সাহেদকে নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন, র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

র‌্যাব ডিজি বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে রিজেন্ট গ্রুপের এমডি মাসুদ পারভেজকে গ্রেপ্তার করা হয়। মাসুদ পারভেজের দেওয়া তথ্যে রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন জানান, উত্তরায় সাহেদের প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে এক লাখ ৪৬ হাজার টাকার নোট উদ্ধার করা হয়। এ সময় ব্রিফকেসসহ আরও কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও সাহেদ বালু ব্যবসায়ী, পাথর ব্যবসায়ী ও রিকশা চালকদের ভুয়া লাইসেন্স দিয়ে প্রতারনা করে আসছিলেন বলেও প্রমান পান।

গত কয়দিন সে কোথায় ছিল জানাতে গিয়ে ডিজি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, একেকদিন একেক জায়গায় আত্মগোপনে ছিল। ঢাকা কক্সবাজার সাতক্ষীরা অঞ্চলে সুকৌশলে আত্মগোপনে ছিল সে। দেড়হাজার কোমড়পুর সীমান্তে লবঙ্গবাতি খাল দিয়ে দেশত্যাগের চেষ্টা করলে সে ধরা পড়ে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

কীভাবে এই প্রতারককে ধরা হলো সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে র‌্যাবের ডিজি বলেন, ইতোমধ্যে আপনারা জেনেছেন সাহেদ কী মানের প্রতারণার কাজ করতে পারে। গত কয়েকদিন ধরেই সে এক জায়গা থেকে এক জায়গা পরিবর্তন করছিল। আমরা তাকে ফলো করেছি। এবং সবশেষে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়েছি। 

ঢাকা কবে ছেড়েছে প্রশ্নে র‍্যাব মহাপরিচালক জানান, সে ঢাকা ছেড়েছে আবার ঢাকায় ফিরেছে, আবার বেরিয়েছে। এসবের মধ্যেই ছিল। এই পুরো সময়টাতে সে কখনও ব্যক্তিগত গাড়ি, কখনও হেঁটে, কখনও ট্রাকে চলাচল করছিল। অবশেষে নৌকা দিয়ে পার হওয়ার সময় আমরা তাকে ধরতে সক্ষম হয়েছি।

এদিকে, গ্রেফতার সাহেদকে আজই (১৫ জুলাই) ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।