Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

দুর্গাপুরে উজান থেকে আসা পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত নেত্রকোনা

দুর্গাপুরে উজান থেকে আসা পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। নিম্নাঞ্চল সহ কুল্লাগড়া, গাঁওকান্দিয়া, কাকৈরগড়া ও বাকলজোড়া ইউনিয়নের প্রায় ১শত গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ, বিনষ্ট হয়েছে আমন ধানের চারা।

এ নিয়ে সোমবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, গত তিন দিনের টানা ভারীবর্ষণ আর ভারতের মেঘালয় থেকে আসা পানির কারনে গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নে প্রায় পনের দিনের ব্যবধানে ফের বন্যা দেখা দিয়েছে। বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষ পানি বন্দি অবস্থায় জীবন যাপন করছে। ওই এলাকার নেতাই নদীর পানি প্রবল স্রোতে গ্রামে প্রবেশ করছে। এলাকায় কোন বেড়ি বাঁধ না থাকায় ওই ইউনিয়নের বন্দউষান, ভাদুয়া, জাকিরপাড়া, শ্রীপুর সহ প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ছে। কাকৈরগড়া ইউনিয়নের ঝাঞ্জাইল, খাঁ পাড়া, পাল পাড়া, বরবাট্টা, মেকুরজানী সিদলী এলাকার প্রায় ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বাকলজোড়া ইউনিয়নেরও প্রায় ১৫টি গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। 

এছাড়া কুল্লাগড়া ইউনিয়নের কামারখালী, কাকরাকান্দা, মাধবপুর, বিপিনগঞ্জ এলাকা সহ  প্রায় ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ওই সকল গ্রামের সবকটি গ্রামীণ সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা একবারে ভেঙে পড়েছে। নৌকা ও কলার ভেলা তৈরি করে মানুষ প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নেওয়ার চেষ্টা করছে। বয়স্ক ও শিশুদের নিয়ে চরম উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছেন পানি বন্দি পরিবার গুলো। চরম ঝুঁকিতে রয়েছে বেশ ক’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গুজিরকোনা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ভাদুয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে হাটু পানি। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে বন্দউষান বাজার, স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদরাসা। 

এছাড়া পৌরশহরের কিছু অংশ নতুন করে প্লাবিত হওয়া খবর পাওয়া গেছে। শিবগঞ্জ বাজার, ডাকুমারা ও কুল্লাগড়া এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। চলমান ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিস্টদের সহযোগিতা কামনা করছেন ওই গ্রামের হাজারো মানুষ। কৃষি জমি, রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, বাজার, মসজিদসহ সবকিছু নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে এমনই শস্কায় ভুগছেন স্থানীয়রা।  

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব জানান, বন্দ উষান গ্রামের নেতাই নদীর বাঁধটি রক্ষার জন্য আমরা বহু চেস্টা করেছি। হঠাৎ বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ ভেঙে গ্রামের অনেক মানুষের ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রাশসনের উদ্ধতন দপ্তর অতিদ্রুত এ বাঁধ নির্মানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন এমনটাই দাবী করছেন প্লাবিত জনগন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নেত্রকোনা জেলার উপ-প্রকৌশলী মোঃ রহিদুল হোসেন খান যুগান্তর কে জানান, অল্প দিনের ব্যবধানে ফের বন্যা হওয়ায় পানি বেড়ে ওই বাঁধটি ভেঙে গেছে। যতদ্রুত সম্ভব বাঁধ নির্মানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে ইউএনও ফারজানা খানম বলেন, ওই এলাকার বেড়ি বাঁধটি ভেঙে যাওয়ার খবর পেয়েছি। উর্দ্ধতন কৃর্তপক্ষের সাথে কথা বলে জরুরী ভিওিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।