করোনাকালীন সময়ে ত্রাণ কার্যক্রম হতে হবে চুরিমুক্ত ও তালিকা হতে হবে নির্ভুল রাজবাড়ী / 
সরকারী কর্ম কমিশনের সচিব মোছাঃ আছিয়া খাতুন বলেছেন, করোনা কালীন সময়ে ত্রাণ কার্যক্রম হতে হবে চুরিমুক্ত ও তালিকা হতে হবে নির্ভুল। ত্রাণ প্রত্যাশী হতদরিদ্রদের তালিকা করতে হবে সততার সাথে। শনিবার সকালে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় স্বাস্থ্য ব্যাবস্থাপনা, ত্রাণ বিতরনসহ আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়ে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি পরে না থাকে। আমাদের সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করতে হবে। যেখানে যেই ফসল হয় সেখানে সেই ফসল আবাদ করতে হবে। পাশাপাশি বাড়ির আঙ্গিনায় সবজির চাষ করতে হতে যাতে আমাদের খাদ্যের কোন সংকট না দেখা দেয়।
ঈদুল আযহায় পশুর হাটে করোনা মোকাবেলায় মাস্ক ব্যাবহার নিশ্চিতের বিষয়ে জোর দেন তিনি। সেই সাথে হাট ইজারাদার যেন প্রতিটি হাটে হাত ধোয়ার ব্যাবস্থা ও দুরত্ব বজায় রাখে সে ব্যাপারে নজর রাখতে জেলা প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ জানান তিনি।
এ সময় রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগমের সভাপতিত্বে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম, রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ জিল্লুল হাকীমের পুত্র ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশিক মাহমুদ মিতুল, প্রেস ক্লাবের সভাপতি খান মোঃ জহুরুল হক, সাধারন সম্পাদক খোন্দকার আব্দুল মতিন, বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম হেদায়েতুল ইসলাম,রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইদুজ্জামান খান, বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ, কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চেীধুরী অলিউজ্জামান টিটো, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আছাদুজ্জামান চৌধুরী, রাজবাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ সফিকুল ইসলাম সফি, বক্তৃতা করেন।
এসময় রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ জিল্লুল হাকীমের পুত্র জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশিক মাহমুদ মিতুল বলেন, মহামারি করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ জিল্লুল হাকীমের নির্দেশনায় পাংশা, বালিয়াকান্দি, ও কালুখালী উপজেলার যুবলীগ, ছাত্র লীগসহ আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে। রাজবাড়ী-২ আসনের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিতে পর্যাপ্ত মাস্ক, পিপিই এমনকি ভ্রাম্যমান মেডিকেল টিমও গঠন করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমানে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এখনও খাদ্য সহায়তা প্রদান কার্যক্রম চলমান আছে। মশা নিধন কার্যক্রম ও শুরু করা হয়েছে। রাজবাড়ী-২ আসনের তিনটি উপজেলার ২৪ টি ইউনিয়ন এর মধ্যে ২১ টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিরা সকলের সাথে সমন্বয় করে ত্রান বিতরন কার্যক্রম চালু রেখেছে। শুধু বাবুপারা, সাওরাইল ও মদাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা তারা নীজেরা নীদের মতো করে কার্যক্রম করছে। কারো সাথে কোন সমন্বয় তারা করছে না। এমনকি ওই তিন ইউনিয়নে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসুচী ১০ টাকা কেজি দরে চাল কর্মসুচীর তালিকায়ও গরমিল থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানান তিনি।
সভায় রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও রাজবাড়ী চেম্বারস অব কমার্স এন্ড ইন্ডাসট্রিজের সভাপতি কাজী ইরাদত আলীর প্রতিনিধি হিসেবে রাজবাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ সফিকুল ইসলাম সফি বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় রাজবাড়ী-১ আসনের রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলায় পর্যাপ্ত ত্রান সহায়তা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সাধারন সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীর নির্দেশে মানুষকে সচেতন করার কার্যক্রম করা হয়েছে। ঈদুল ফিতরের আগে সরকারী নিয়ম মেনে বাজার লকডাইন করা হয়েছে। আবার সরকারী নির্দেশনা মেনে বাজারের কার্যক্রম শুরু করা হলেও ২২ টি পয়েন্টে সারা দিন মাইক দিয়ে সচেতন করার কার্যক্রম করা হয়েছে।
সভাপতির বক্তৃতায় রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন, ত্রান কার্যক্রম নিয়ে নয় ছয় এটিকে কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। তাই যেখানেই জেলা প্রশাসন অনিয়ম পেয়েছে সেখানেই ব্যাবস্থা গ্রহন করেছে। এসময় মরনঘাতি করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সকলকে সচেতন থাকার আহব্বান জানান তিনি।