দুর্গাপুরে লড়ির শব্দে এলাকাবাসীর ভোগান্তি চরমে নেত্রকোনা / 
জেলার দুর্গাপুরে কৃষি জমি চাষের লড়ি পরিবহণ হয়ে বেপরোয়া চলাচলে দুর্গাপুর পৌরসভার জনসাধারণ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। অনবরত ভিজা বালু বহন ও লড়ির বিকট শব্দে রাতের ঘুম হারাম হচ্ছে এলাকাবাসীর। সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরের রাস্তা কাঁদায় পরিনত হয়ে ঘটে চলছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা।
এ নিয়ে সোমবার গভীর রাতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুর্গাপুর পৌর এলাকার সোমেশ্বরী নদীর ইজারা প্রাপ্ত ১, ২ ও ৩ নং বালু ঘাট থেকে ভিজা বালু বহন করে বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যায়। বালু ভর্তি অবৈধ লড়ির উপরে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে পরিবহন করার কথা থাকলেও তা মানছেনা অনেক লড়ি চালক। অনেক গাড়ী অপ্রাপ্ত চালক দিয়ে চালানোর ফলে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা। পৌরশহরের কলেজ রোড, উপজেলা সড়ক ও হাসপাতাল সড়কের রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৪ থেকে ৫ শত লড়ি, ট্রাক ও মিনি ড্রামট্রাক চলাচল করায় রাস্তার অবস্থা করুণ দশায় পরিণত হয়েছে। লড়ির নিচে পড়ে শিক্ষার্থী নিহত ও সড়ক দুর্ঘটনা বিষয়ে স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের দাবীতে গত ২মার্চ সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত শহরে লড়ি চলাচল করবে না মর্মে তা বাস্তবায়ন করতে পুলিশ প্রশাসনকে লিখিত নির্দেশ দিয়েছেন নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম। জেলা, উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের এই নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে, পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগ থেকেই বিকট শব্দ করে লড়ি চলাচল করায় অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন শহরবাসী।
রিক্সা চালক আজিম উদ্দিন বলেন, দিনে লড়ি চলাচল বন্ধের নির্দেশ থাকলেও প্রায় সময়ই চলাচল করতে দেখা যায়। রিক্সা নিয়া রাস্তা পার হওয়া তো দূরের কথা ঐ রাস্তা দিয়ে পথচারীদের চলাচল করাই কঠিন হয়ে পড়ে। রাস্তায় ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যাম লেগে থাকায় নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা পোহাতে হয় আমাদের মতো রিক্সা চালকদের।
এ নিয়ে মঙ্গলবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা খানম বলেন, দুর্গাপুর পৌরসভাসহ আশপাশের ইজারাকৃত এলাকা থেকে ভিজাবালু পরিবহনে নিষেধ করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ইতোমধ্যে পথচারীীদের চলাচলের সুবিধার্থে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত লড়ি চলাচল বন্ধের নির্দেশও দেয়া হয়েছে। বর্তমান অবস্থা নিরসনে জেলা প্রশাসনের নির্দেশ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।