Opu Hasnat

আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৪,

দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে করোনায় বন্ধ খদ্দের, সহায়তা চান যৌনকর্মীরা রাজবাড়ী

দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে করোনায় বন্ধ খদ্দের, সহায়তা চান যৌনকর্মীরা

করোনা ভাইরাসের থাবার প্রভাব পরেছে দেশের সবচেয়ে বড় যৌনপল্লি রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায়। করোনা ভাইরাসের কারনে দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে চলছে বন্ধ হয়েছে মানুষের আনাগোনা। সরকারী সব নিয়ম মেনে চলছে এখানকার অন্তত দেড় হাজার যৌনকর্মী। সামাজিক দুরত্ব বজায় নিয়ম মেনে চলতে গিয়ে কমেছে এখানকার বাসিন্দাদের আয়। তাই অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে এখানকার বাসিন্দারা। 

দেশের সবচেয়ে বড় যৌনপল্লি রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় বসবাস করে অন্তত দেড় হাজার যৌনকর্মী। এখানে রয়েছে বাজার, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সব মিলিয়ে অন্তত ১০ হাজার মানুষের আনাগোনা ছিলো এখানে। প্রতিদিন চাকচিক্ক জীবন গান বাজনা আর আনন্দ উল্লাসে কেটেছে এখানকার বাসিন্দাদের জীবন। ছিল সমাজের এক শ্রেনীর মানুষের অবহেলা অবজ্ঞা আর ঘৃনাও। পদে পদে গ্লানির স্বীকার যৌনকর্মীদের সেই জীবনে কালো মেঘের ছায়া নেমে এনেছে মরনঘাতি করোনা। করোনা ভাইরাসের কারনে আয় রোজগার কমে যাওয়া খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন তারা।

যৌনকর্মীরা জানান, প্রতিদিন সন্তানের সামনে আলুভর্তা ডাল আর ভাত দিয়ে খাবার দিতে খুবই কষ্ট হয়। মায়ের মনতো চায় সন্তানকে একটু মাছ অথবা মাংস দিয়ে খেতে দিতে ইচ্ছে থাকলেও নেই তার কোন উপায়, কারন প্রানঘাতি করোনা থেকে রক্ষা পেতে মায়ের আয় যে বন্ধ। 

যৌনকর্মীরা আরো জানান, সরকারীভাবে শুধু চাল দেওয়া হয়েছে। এতে জীবন চালানো কষ্ট হয়ে পরেছে। তাছারা কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসকা করানো কষ্টকর হয়ে দারিয়েছে। 

দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে অসহায় নারীদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে অসহায় নারী ঐক্য সংগঠন। সংগঠনটির সভানেত্রী ঝুমুর বেগম জানান, যৌনপল্লির বাসিন্দাদের জীবনটা অনেক কষ্টের জীবন। তারা ইচ্ছা করলেই বাহিরে যেতে পারে কিন্তুু এখানকার বাসিন্দারা তা পারে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের বৃত্তবানদের কাছে তাদের দুবেলা খাবারের জন্য একটু সহায়তা চেয়েছেন অসহায় নারী ঐক্য সংগঠনের সভানেত্রী ঝুমুর বেগম।