Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

খাগড়াছড়িতে চাঁদা-ট্যাক্স-টোলে অতিষ্ঠ খাগড়াছড়ির কৃষক ও ব্যবসায়ীরা! খাগড়াছড়ি

খাগড়াছড়িতে চাঁদা-ট্যাক্স-টোলে অতিষ্ঠ খাগড়াছড়ির কৃষক ও ব্যবসায়ীরা!

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় উৎপাদিত আমসহ বিভিন্ন ধরণের মৌসুমী ফলমূল পরিবহনে হয়রানীর শিকার হচ্ছে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। ফলমূল উৎপাদন ও পরিবহনের উপর চাঁদা, তিন পৌরসভা ও জেলা পরিষদের অতিরিক্ত ট্যাক্স-টোল আদায়ে অতিষ্ঠ কৃষক, ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সকলে। দ্রুত হয়রানি বন্ধে পদক্ষেপ চান সংশ্লিষ্ট সকলে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: মূর্তজ আলী জানিয়েছেন চলতি বছর ৩২৪৪হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরণের আম চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ৯মেট্রিক টন হারে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য করা হলেও তার চেয়ে বেশি উৎপাদন হয়েছে। তবে যে হারে ঘাটে ঘাটে ট্যাক্স ও টোলের নামে টাকা দিতে হয়, তাতে কৃষকের লাভ হবেনা। খাগড়াছড়ির মতো বাংলাদেশের আর কোন জেলায় উৎপাদিত কৃষি সামগ্রীর উপরে এত ট্যাক্স-টোল নেই বলেও জানান তিনি।

খাগড়াছড়ি ফলদ বাগান মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি দিবাকর চাকমা বলেন, খাগড়াছড়িতে এবছর আম্রপালী আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে এমনিতেই পরিবহন ভাড়া অনেক বেশি। খাগড়াছড়ি হতে চট্টগ্রামের ভাড়া ১০/১২ হাজার টাকা, ফেনীর ভাড়া ৬/৭ হাজার টাকা, ঢাকার ভাড়া ১৫/১৬ হাজার টাকা এবং স্থান বেদে পূর্বের তুলনায় দ্বিগুন-তিনগুন বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। তার উপর বিভিন্ন স্থানে চাঁদা-ট্যাক্স-টোল মিলিয়ে খরচ পড়ে আরো ১৫/২০ হাজার টাকা। আর এসব দিতে দিতে কৃষকের মাথায় হাত।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, খাগড়াছড়ি পৌরসভার সীমানা হচ্ছে শহরের চেংগী ব্রীজ পর্যন্ত। কিন্তু পৌরসভা এখন আরো এক কিলোমিটার দুরে জিরোমাইল এলাকায় গিয়ে ট্যাক্স-টোল উঠাচ্ছে। পৌর টোল কেন্দ্র পৌরসভায় উৎপাদিত ফলমূল ও কাঁচামালের উপর ট্যাক্স-টোল নেবার কথা থাকলেও তা না করে পৌরসীমা লঙ্গণ করে জিরোমাইলে গিয়ে জেলার মহালছড়ি উপজেলা, পাশবর্তী রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার উৎপাদিত সামগ্রীর উপরে টোল আদায় সম্পূর্ন বেআইনী। একটি গাড়ির ভাড়ার পাশাপাশি ১০/১৫ হাজার টাকা যদি ট্যাক্স-টোল দিতে হয়, তাহলে কৃষকেরা কোথায় যাবে? তাছাড়া প্রতিদিন গড়ে ২০০/২৫০ পন্যবাহী গাড়ি চলাচল করে জিরোমাইল পয়েন্ট মোড় দিয়ে।