Opu Hasnat

আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৪,

বিএনপির সাংসদদের ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট প্রত্যাখান রাজনীতি

বিএনপির সাংসদদের ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট প্রত্যাখান

২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট প্রত্যাখান করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা। বুধবার (১ জুলাই) জাতীয় সংসদের মূল গেটের সামনে সাংবাদিকদের কাছে বাজেট প্রতিক্রিয়া জানান তারা।

সূচনা বক্তব্যে বিএনপির সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, ‘গত একশ বছরে পৃথিবীতে এমন দুর্যোগে-মহামারি আমরা দেখিনি। এই মহামারির মধ্যে গতকাল আমাদের বাজেট পাস হয়েছে। এই বাজেট জনগণকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য। আমরা যাতে সংসদে এই বাজেট নিয়ে কথা বলতে না পারি, সমালোচনা করতে না পারি, সে কারণে মাত্র একদিনের জন্য সাধারণ বাজেট আলোচনা করা হয়। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন আলোচনাবিহীন বাজেট কখনো পাস হয়নি। জনগণের পক্ষ থেকে আজকে এই মহান সংসদের সামনে দাঁড়িয়ে আমরা এই বাজেট প্রত্যাখান করছি।’

বিএনপির আরেক সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, ‘বিএনপির সংসদ সদস্য হিসেবে আমাকে খুব অল্প সময়ের জন্য বাজেট বক্তৃতায় কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাজেট বক্তৃতায় এক পর্যায়ে স্পিকার আমার মাইক বন্ধ করে দেন।’

‘আমরা বাজেট ঘোষণার আগে একটা প্রস্তাব দিয়েছিলাম এই বাজেট অধিবেশন ভার্চুয়াল করার জন্য। কিন্তু সেটা করা হয়নি। বাজেট নিয়ে কথা বলার সুযোগ থেকে আমাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। আমরা শুধু এটুকু বলতে চাই, যারা মহাজোটের শরিক তারাই বিরোধী দলে অংশগ্রহণ করছে। তার ফলে জনগণের যে সংকট, সেটি সত্যিকার অর্থে সংসদে প্রতিফলিত হচ্ছে না’— বলেন হারুনুর রশীদ।

লিখিত বক্তব্যে বিএনপির সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘বাজেট অধিবেশন সংসদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশন। এই অধিবেশনে দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে বাজেটের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ জাতির স্বার্থেই খুব জরুরি। 

করোনাকালীন স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনায় নিয়ে এবারের বাজেট অধিবেশন অতি সংক্ষিপ্ত করতে চেয়েছে সরকার। কিন্তু আমাদের পক্ষ থেকে এই অধিবেশন ডিজিটাল বা ভার্চুয়ালি করার প্রস্তাব দিলেও তা গ্রহণ করা হয়নি।’
 
তিনি বলেন, ‘গত ১৫ই জুন অনির্ধারিতভাবে ২৩ জুন পর্যন্ত বর্তমান অধিবেশন মূলতবি করে মাত্র এক দিন (২৩ জুন) বাজেটের সাধারণ আলোচনা করা হয়েছে। এটা অকল্পনীয়। আমাদের বিশ্বাস করোনার মতো ভয়ঙ্কর একটা সংকটে যে যাচ্ছেতাই বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে, সেটার সমালোচনা এড়ানোর জন্যই অধিবেশন সংক্ষিপ্ত করে তড়িঘড়ি করে শেষ করতে চেয়েছে সরকার।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সংসদ সদস্য মোশররফ হোসেন, আমিনুল ইসলাম ও বিএনপির চেয়াপারসনের প্রেসউইং সদস্য শায়রুল কবির খান।