Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

মোরেলগঞ্জে সরকারি মৎস্য কার্ডের চাল নিয়ে চলছে চালবাজি! বাগেরহাট

মোরেলগঞ্জে সরকারি মৎস্য কার্ডের চাল নিয়ে চলছে চালবাজি!

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার পঞ্চকরণ ইউনিয়ন পরিষদে মৎস্য কার্ডের চাল নিয়ে চলছে চালবাজি। উপজেলার পঞ্চকরণ ইউনিয়ন পরিষদের ৬২৮ মৎস্য কার্ড থাকা সত্তে¡ও ৬‘শ জনের অনুকুলে সরকারি চাল বরাদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যে অনেকেই আজ পর্যন্ত পায়নি। ৫৬ কেজি করে বরাদ্ধ থাকা সত্তেও গত ১০ জুন বুধবার পরিষদে বসে ৫১৭ জন কার্ডের অনুকুরে ৫০ কেজি  করে চাল বিতরন করা হয়েছে।

বাকি কার্ডের মাষ্টাররোল তৈরী করা হলেও তাদেরকে কোন চাল দেয়া হয়নি। এমনকি ২ বছর ও ৩ বছর পূর্বে মৃত হয়েছে এমন ব্যাক্তির কার্ডের অনুকুলের চাল কারো ভাই, কারো নাতির কাছে দিয়ে বিতরন দেখানো হয়েছে। অথচ অনেক বৃদ্ধ, গরীব অসহায় তাদের কার্ডের চাল দেয়া হয়নি।  

কথা হয় মৎস্য চাল না পাওয়া একাধীক কার্ড হোল্ডারদের সাথে কেউ কেউ জানান, এবার নতুন কার্ড তাই চাল দেয়া হবেনা বিভিন্ন খরচ আছে, পরবর্তীতে কার্ডে চাল দেয়া হবে।

গত ১৬ জুন ১নং ওয়ার্ডের মৎস্যজীবীলীগের সভাপতি মো: বাবুল খান পরিষদ থেকে ৫০ কেজির ১৬ বস্তা চাল ট্রালার যোগে বাড়ী নিয়ে যাওয়ার সময় সোনাখালী সুইজ গেটের পৌঁছালে স্থানীয় জনতা ও চাল না পাওয়া ব্যাক্তিরা তাকে আটক করে প্রশাসনকে সংবাদ দেয়। সংবাদ পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রঞ্জন চন্দ্র দে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আটককৃত ১৬ বস্তা চাল জব্দ করে ১নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য ডা: সোবাহান এর কাছে চাল জমা রাখেন। 

প্রশাসন চাল জব্দ করে রেখে চলে আসার পরপরই সুকৌশলে বাবুল খানের লোকজন বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য স্থানীয় লোকজন ও কার্ডের চাল না পাওয়া লোকজনদের উপর চড়াও হয়ে উঠলে উভয় পক্ষ মারপিট শুরু করে। মারপিটের ঘটনায় মোরেলগঞ্জ থানা একটি মামলা দায়ের করা হয়। 

পরবর্তীতে গত ১৭ তারিখ বিকেলে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার পরিষদে কিছু সংখ্যক সাংবাদিকদের ডেকে সংবাদ সম্মেলনের মধ্যামে নিজেকে নির্দোশ প্রমান করার চেষ্টা করেন। 

এ ব্যাপারে ১নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য ডা: সোবাহান বলেন, আমার কাছে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ১৬ বস্তা চাল জমা রেখে যায়। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মৌখিক নির্দেশে ১৬ জনার মাষ্টার রোল তৈরী করে বিতরণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার বলেন, জব্দকৃত চাল পরবর্তীতে বিতরন করা হয়েছে। মোট ৬২৮ কার্ডের মধ্যে ২৮ টি কার্ড মৎস্য অফিস থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।  বাকি সমস্ত কার্ডে চাল তারা পাবে।

এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রঞ্জন চন্দ্র দে বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: কামরুজ্জামান বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার ভূমির প্রতিবেদনটি জেলা প্রশাসক স্যারকে পাঠানো হয়েছে।

এই বিভাগের অন্যান্য খবর