Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

কালকিনিতে বিধবার জমি দখলের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন মাদারীপুর

কালকিনিতে বিধবার জমি দখলের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন

মাদারীপুরের কালকিনিতে মোসাঃ ছেনোয়ারা বেগম (৫০) নামে এক বিধবার ২০ শতাংশ জমি দখলের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন বিধবার পরিবার। শনিবার সকালে উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে এ সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়।

ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার রমজানপুর এলাকার দক্ষিন রমজানপুর গ্রামের অসহায় বিধবা ছেনোয়ারা বেগমের স্বামী মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন প্রায় ১৯ বছর আগে মারা যান। মোফাজ্জেল হোসেন মৃত্যুর পর ১৫০ নং দক্ষিন চর রমজানপুর মৌজার ৭২২০ দাগের পৈত্রিক সাড়ে ৩৭ শতাংশ জমি রয়েছে। মৃত্যুর সময় মোফাজ্জেল স্ত্রী, ১ মেয়ে ও ২ ছেলে ওয়ারিশ হিসেবে রেখে যান। সেই ওয়ারিশ মোতাবেক মোফাজ্জেলের স্ত্রী ও দুই সন্তান ওই জমির মালিক হন। কিন্তু এ জমি পুরোটাই জোরপূর্বক দখল করেন একই এলাকার প্রভাবশালী  আকতার হোসেন খান ও হায়দার আলী খান। এ দখলকৃত বিধবার জমিতে আকতার হোসেনের নির্দেশে ১৯১নং দক্ষিন রমজানপুর রাশিদা আক্তার নামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মান করেন। কিন্তু ওই বিদ্যালয়ের নামে আকতার খান জমি দান করেন ১৫০ নং দক্ষিন রমজানপুর মৌজার ১/২নং খতিয়ানের ৪নং দাগের নাল একশত শতাংশ হইতে ত্রিশ শতাংশ অর্পনকৃত। এ বিদ্যালয়ের নামে দানকৃত জমিতে আকতার হোসেন একটি হাঁসের র্ফাম করেছেন। এই হাঁসের র্ফাম যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তাই আকতার হোসেন খান কৌশল খাটিয়ে বিদ্যালয়ের নামে দানকৃত জমিতে বিদ্যালয় স্থাপন না করে বিধবা ছেনোয়ারা বেগমের দলিলের ১ নং ও ৭২২০ দাগে বিদ্যালয় নির্মান করেন। এবং কি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ভুল বুঝিয়ে আকতার হোসেন খান বিদ্যালয় নির্মান করার সকল প্রকার সহযোগীতা করেন বলে অভিযোগে জানাযায়। তবে এ জমি দখলের ঘটনায় ছেনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে মাদারীপুর কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

ভুক্তভোগী ছেনোয়ারা বেগম সাংবাদিক সম্মেলনে কান্নাজরিত কন্ঠে বলেন, আকতার হোসেন খান বিদ্যালয়ের জন্য যে দাগে জমি দান করেছেন। সেখানে তিনি বিদ্যালয় নির্মান না করে একটি হাঁসের র্ফাম করেছেন। আর আমার জমির উপর জোরপুর্বক বিদ্যালয় নির্মান করেছেন। আমার জমি আমি ফেরত চাই।

অভিযুক্ত আকতার হোসেনের ভাই হায়দার খান বলেন, ছেনোয়ার ওই জমি স্কুলের নামে দিয়ে দিয়েছে। তার সাথে আমরা মিমাংসা হয়ে গেছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, বিধবা ছেনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে এ জমি নিয়ে আদালতে মামলা করেছেন। আদালতের সিদ্ধান্তের পর সকল প্রকার ফয়সালা আমরা করে দেব।