সনৎ বসু’র অণুগল্প ‘পরিযায়ী’ শিল্প ও সাহিত্য / 
ওরা আন্ধেরি থেকে ফিরছিল। তিন জন। অনেকের সংগে লরিতে। তিন রাত প্রায় না- খাওয়া, না- ঘুম। খড়্গপুর চিঁচড়া বর্ডার। পুলিশ গাড়ি আটকালো। মেডিকেল চেক।
কোন কাগজ মানলো না। সকাল দুপুর রাত। রাস্তায় সার সার বাস, লরি। কয়েকশো বাঙালি শ্রমিক। অভুক্ত, শ্রান্ত, নিঃস্ব।
রাত ন’টায় লরি সীমান্ত পেরিয়ে ভিতরে। যাবে মালদা হরিশ্চন্দ্রপুর। মাঝরাতে বিডিও অফিস। আবার চেকিং। সংগে পুলিশ। কিন্ত গ্রামের মুখে মানুষ।
এখানে হবে না মাঠে যাও, জংগলে যাও, শ্মশানে যাও। করোনা রোগ তফাত যাও।
তিনজন পালিয়ে এলো শ্মশানে। পুলিশও পগার পার।
ঘর থেকে খাবার এলো। ডাল ভাত উচ্ছেভাজা। মগ ভরা জল। বৌ মিষ্টি উঁকি দিয়ে সরে গেলো, সামনে এলো না।
নিঝুম রাত, ঘুরঘুট্টি অন্ধকার। কুকুরের কান্না।
যাক বাবা। শেষপর্যন্ত ঘরে তো ফেরা গেলো। স্বপ্নের ঘর।