Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

বড়াইগ্রামে সাংবাদিক আবু জাফরের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ মিডিয়ানাটোর

বড়াইগ্রামে সাংবাদিক আবু জাফরের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ

বুধবার রাত ১০টায় নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম থানার গড়মাটি গ্রামের মধ্যপাড়ায়  সাংবাদিক আবু জাফর সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। রাতের অন্ধকারে গোপালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মোল্লা এবং তার ভাই রওশন মোল্লা তার সহযোগী আট থেকে দশ জন রাত দশটায় রাস্তায় বাইকের সামনে দাঁড়িয়ে রাস্তা রোধ করে এবং রওশন মোল্লা বাইকের চাবি নিয়ে নেয় এবং সহযোগীরা বেধকর মারপিট শুরু করে। গোপালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মোল্লা বলতে থাকে ওকে বাইক থেকে নামিয়ে বাইকসহ কাছে যা আছে রেখে দে।এক পর্যায়ে সাঈদ মোল্লার ছোট ভাই রওশন মোল্লা পিছন পকেটে হাত ঢুকিয়ে দিয়ে মানিব্যাগ কেড়ে নেয়!

রওশন গলায় ছুরি ঠেকিয়ে বাইক রেখে চলে  যেতে বলে। মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টাকালে চিৎকার শুরু করলে আশ পাশের লোকজন ছুটে আসলে সাঈদ মোল্লা তার ভাই রওশন মোল্লাসহ সহযোগী আট দশজন চলে যায়।

কথিত আছে যে রওশন মোল্লা একটি মাদক মামলা এবং একটি ছিনতাই মামলা সহ বেশ কিছু মামলার আসামি। জামিনে থেকে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মোল্লার ছোট ভাই রওশন মোল্লা এই ধরণের অপকর্ম প্রায় করে থাকে। 

ভুক্তভোগী সাংবাদিক আবু জাফর বলেন, সাঈদ মোল্লার নেতৃত্বে এই চক্রটি এলাকায় মাদক ব্যাবসা থেকে শুরু করে চুরি ছিনতাই, এমন কোন অপকর্ম নেই যে তারা করতে পারে না। আমি যখন ঘটনা জানাতে থানার উদ্দেশ্যে রওনা হই তখন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মোল্লার সহযোগিরা আবার রাস্তা রোধ করে থানায় যেতে বারণ করে এবং আমি সহ আমার ভাই এবং সহযোগীদের সাথে তুমুল বাক্য বিনিময় শুরু করেন এবং হাতাহাতি শুরু হয়। ঘটনার এক পর্যায়ে রকি আমার পকেট থেকে জোড় পুর্বক আবার পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা বের করে নেয় । 

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দিলীপ কুমার দাস বলেন, অভিযোগ পেয়েছি মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে, আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করছি।

আর কতো সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হবে। সকল সাংবাদিক মহল থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানান। দ্রুত ঘটনার সাথে জড়িত সকল সন্ত্রাসীর গ্রেপ্তার এর দাবি করছেন সাংবাদিক মহল ।