Opu Hasnat

আজ ২৬ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

করোনাকালে সৈয়দপুরে ময়লা-আবজর্নার ভাগাড়, শহরে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে নীলফামারী

করোনাকালে সৈয়দপুরে ময়লা-আবজর্নার ভাগাড়, শহরে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে

নীলফামারীর সৈয়দপুর ব্যস্ততম বাণিজ্য শহরের পাঁচমাথা সড়কের পাইকারি ফল বাজারটি যেন ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিনেও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা না করায় দুর্গন্ধময় ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি অন্যদিকে নোংরা পরিবেশের ফলে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।

সরজমিনে দেখা যায়, পাইকারি ফল বাজারের ওই রাস্তাটি এখন পুরোপুরো আবর্জনার ভাগাড়। ওই পথে চলাচলকারী ব্যবসায়ীগণ জানান, এ এলাকায় পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সচরাচর দেখা যায়না। পাশে রেলওয়ের অফিস পাড়া। সেখানে রেলের বিভাগীয় অ্যাকাউন্টস অফিস, পূর্ত ভূমি ইঞ্জিনিয়ারের কার্যালয় তারপাশে ঝকঝকে বিমানবন্দর সড়ক। অপর প্রান্তে হাতিখানা আবাসিক এলাকা, ফলবাজার ও খুলনাগামী রেলপথ। এমন একটি ব্যস্ততম সড়কটি দিন দিন ভাগাড়ে পরিণত হওয়ায় চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে এলাকার মানুষ ও পথচারীরা।

দি সৈয়দপুর বণিক সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলী জানান, ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি বড় বড় ফলের আড়ত রয়েছে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে এখানে বেচাকেনা শুরু হয়। ব্যবসায়ীরা পচা ফল ও উচ্ছিষ্ট আবর্জনা সড়কের পাশে ফেলে রেখে চলে যান। এসব পরিস্কারের দায়িত্ব সৈয়দপুর পৌরসভার। কালেভদ্রে দু’একবার পরিচ্ছন্নতার যান এলেও কাজের কাজ কিছুই হয়না।

বাদশা ফল ভান্ডারের বাদশা মিয়া জানান, এলাকাটি পরিচ্ছন্ন রাখতে বার বার পৌরসভায় অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এলাকার একটি জলাশয় আবর্জনার কারণে ভরাট হয়ে গেছে বলে জানান তিনি। ওই এলাকায় যেতে নাকে রুমাল দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আরিফুর রহমানের সাথে এনিয়ে কথা হয়। তিনি জানান, করোনার মহামারীর এই দু:সময়ে শহরের পাড়া-মহল্লা, রাস্তাঘাট সবকিছু পরিস্কার রাখা উচিত। যদিও পৌরসভা প্রধান প্রধান সড়কে জীবানুমুক্ত পানি স্প্রে করছে। আলোর নীচে অন্ধকার থাকলে তো রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। তিনি দ্রুত এসব পরিস্কারের আহবান জানান।

এ প্রসঙ্গে সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র মো. আমজাদ হোসেন সরকার জানান, শহর প্রতিদিন চারবার পরিস্কার করা হচ্ছে। প্রতিটি এলাকায় পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ময়লা-আবর্জনা তুলছেন। বরং ওই এলাকার ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী স্বাস্থ্য সচেতন না হয়ে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড় সৃষ্টি করছেন। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মহামারীর এই দুর্যোগে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে।