Opu Hasnat

আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৪,

গাইবান্ধায় মামলার বাদীকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা, বাঁধা দেওয়ায় মারপিট গাইবান্ধা

গাইবান্ধায় মামলার বাদীকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা, বাঁধা দেওয়ায় মারপিট

এল.এন.শাহী, গাইবান্ধা থেকে : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় মামলার বাদীকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা বাঁধা দেওয়ায় আসামি মাহবুর রহমান লিলুর ও তার লোকজন বাদী আমেনা বেগমসহ তার মা জেসমিন বেগমকে ব্যাপক মারপিট করেছে। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। 

গত ২৭ মে বুধবার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের উঠান বোচাগাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আমেনা বেগমের পিতা গোলাম মোস্তফার অভিযোগের প্রেক্ষিতে কঞ্চিবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। 

জানা যায়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়নের বজরা কঞ্চিবাড়ী গ্রামের গোলাম মোস্তফার মেয়ে আমেনা বেগমের সাথে একই উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের উত্তর সীচা (কামারপাড়া) গ্রামের ঈমান হোসেনের ছেলে মাহবুর রহমান লিলুর ২০১৮ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের পর যৌতুকের জন্য আমেনা বেগমকে নির্যাতন করতেন স্বামী ও শ্বশুর বাড়ীর লোকজন। আমেনা বেগম অন্ত:সত্তা হলে তার উপর যৌতুকের চাপ সৃষ্টি করে। নিরুপায় হয়ে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে গাইবান্ধায় পারিবারিক আদালতে যৌতুক ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ আইনে আমেনা বেগম বাদী হয়ে মাহবুর রহমান লিলুর বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা নং ১৯/২০১৯। এ মামলার আসামি মাহবুর রহমান লিলু  জেল হাজতে ছিল। বর্তমানে আমেনা বেগমের ৫ মাসের একটি কন্যা সন্তান রযেছে। মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য মামলার বাদী স্ত্রী আমেনা বেগম ও শিশু সন্তানকে ছিনিয়ে নেয়ার সুযোগ খুজতে থাকে মাহবুর রহমান লিলু। গত ২৭ মে বুধবার আমেনা বেগম তার বাবা ও মায়ের সাথে উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের উঠান বোচাগাড়ী গ্রামে দাদা বাড়ীতে বেড়াতে গেলে মাহবুর রহমান লিলুর ও তার লোকজন মামলার বাদী স্ত্রী আমেনা বেগম ও শিশু সন্তানকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে,এতে বাঁধা দেওয়ায় আমেনা বেগম তার মা জেসমিন বেগমকে ব্যাপক মারপিট করে তারা। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।