গাইবান্ধায় এবার ঈদ শেষে নেই কোন বিয়ের আয়োজন গাইবান্ধা / 
এল.এন.শাহী, গাইবান্ধা থেকে : বিশ্বজুড়ে ভয়াল থাবা বসিয়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। গাইবান্ধাসহ সারাদেশে লকডাউন শিথিল করলেও এখনো বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে অফিস-আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এই সংকটের কারণে পিছিয়ে গেছে বিয়ের অনুষ্ঠানও। লকডাউনের জেরে ঈদ শেষে বিয়ের মওসুম এবার বানচাল৷
প্রতিবছর দু’টি ঈদের লম্বা ছুটিতে গাইবান্ধায় বিয়ের ধুম পড়ে যায়। ঈদকে কেন্দ্র করে আত্মীয়স্বজনকে একসঙ্গে পাওয়ার সুযোগে জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিয়ে সম্পন্ন করা অনেকটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে।
গাইবান্ধার বিভিন্ন এলাকার বিয়ে নিবন্ধনকারী, ঘটক ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছর ঈদে মাত্র তিন থেকে চার দিনের ছুটিতে অনেকেই ছেলেমেয়ের বিয়ের জন্য এ সময় বেছে নেন। ঈদের পরদিন থেকে জেলাজুড়ে বিয়ের ধুম পড়ে যেত। একসঙ্গে অনেক বিয়ের অনুষ্ঠান থাকায় বেশি ঝামেলায় পড়তেন ডেকোরেটর ও কমিউনিটি সেন্টার সংশ্লিষ্টরা। ঈদ শেষে বিয়ের এই ভরা মওসুমে একসঙ্গে একাধিক বিয়ের দাওয়াত রক্ষা করতে গিয়ে বেকায়দায়ও পড়ে যেতেন কেউ কেউ। একই দিনে, একই সময়ে একাধিক বিয়ের দাওয়াত থাকায় পরিবারের লোকজন দুই দলে ভাগ হয়ে দুই বাড়িতে দাওয়াত রক্ষা করতেন।
কিন্তু করোনাকালে কোনো কিছুই স্বাভাবিক ছন্দে চলছে না৷ বিয়ের মতো শুভ অনুষ্ঠানও বাদ পড়ার তালিকায় ঢুকে পড়েছে৷ লকডাউন চলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হচ্ছে৷ জমায়েত ছাড়া আনন্দ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা সম্ভব নয়৷ ফলে বাতিল হয়ে যাচ্ছে বিয়ে৷ পিছিয়ে দিতে হচ্ছে৷ এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অনুষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা৷
বিয়ের আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত থাকেন বিভিন্ন পেশার মানুষজন৷ পার্লার থেকে সাজপোষাক, ডেকারেটার থেকে বাবুর্চি, কমিউনিটি সেন্টার থেকে রেন্ট-এ কার সকলেই ক্ষতির মুখে পড়েছেন লকডাউনের জেরে৷ এবার ঈদ শেষে বিয়ের মওসুমে কারো হাতেই কাজ নেই৷ অথচ এই বিয়ের মওসুমই তাদের সারা বছরের রসদ জোগায়৷ তারা বলছেন ‘আমরা এই সময়ের দিকে তাকিয়ে থাকি বছরভর৷ এবার করোনার কারনে বিয়ে, জন্মদিনসহ সব সামাজিক অনুষ্ঠানই বন্ধ৷ আমাদের বড় ক্ষতি হয়ে গেল৷’